সীমানা প্রাচীর ইস্যুতে মুখোমুখি চবি প্রশাসন ও এলাকাবাসী
সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ইস্যুতে মুখোমুখি অবস্থানে চবি প্রশাসন ও এলাকাবাসী। এ বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানছে না চবি কর্তৃপক্ষ, এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
জোবরা গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ চবি প্রশাসন পুলিশকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাদেরকে নানা ভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
প্রতিষ্ঠার পঞ্চাশ বছর পর চলতি বছরের এপ্রিলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখলকৃত জমি উদ্ধার ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়।
প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সীমানা প্রাচীর নিয়ে চবি প্রশাসনকে শুরু থেকেই নানা বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এ নিয়ে অনেকটাই পাল্টাপাল্টি অবস্থানে এলাকাবাসী ও চবি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যৌথ ভূমি পরিমাপ না করেই তাদের বসত ভিটা উচ্ছেদ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করে স্থানীয়রা। তাতে ১৯ জানুয়ারি ভিসিকে দেয়া এলাকাবাসীর আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না করার আগে কোন ধরনের উন্নয়ন বা অবকাঠামোগত কাজ না করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও জনস্বার্থ রক্ষা কমিটির সদস্য সানোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিশবিদ্যালয় প্রশাসন জোর খাটিয়ে তাদের বাস স্থান উচ্ছেদ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অব্যহত রেখেছে অবৈধ এ নির্মাণ কাজ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্মাণ কাজ বন্ধ করে যৌথ ভূমি পরিমাপ করতে হবে। অন্যথায় কোন আলোচনাই ফলপ্রসূ হবে না।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালে এর মালিকানায় ছিল ১হাজার ৭৫৩ একর জমি। গত পঞ্চাশ বছরে বিভিন্নভাবে বেদখল হয়ে গেছে প্রায় ৫শ’ একর। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা।
এদিকে স্থানীয়দের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. কামরুল হুদা জাগো নিউজকে জানান, আদালত অবমাননার যে অভিযোগ এসেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আদালতের আদেশের প্রতি সম্মান রেখেই বরং আগামী ৩০ আগস্ট আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে জেলা প্রশাসনসহ সব পক্ষের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
জীবন মুছা/এমএমজেড/এমএস