ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

রাবিতে গিয়ে উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করলেন এমপি

প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০১৫

রাজশাহীর গোদাগাড়ী-তানোর আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহম্মদ মিজান উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপ-উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের সামনেই ওই সাংসদ লোকজন নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দফতরে তাকে লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ করছেন রাবি উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, আজ (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎকদের পদন্নতি নিয়ে বৈঠক করার সময় আমার ফোনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ওমর ফারুর ফোন করেন। আমি বৈঠকে আছি, এ বলে পরে তার সাথে কথা বলতে চাই। এ কথা শুনে ফোনেই উচ্চবাচ্চ শুরু করেন এবং আমার অফিসে আসতে চান। কথা বলার ১০ মিনিটের মাথায় তিনি লোকজন নিয়ে আমার দফতরেও চলে আসেন।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু তিনি একজন জনপ্রতিনিধি তাই আমি বৈঠক বন্ধ করে আমার অফিসে তাদেরকে নিয়ে বসি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতেই সাংসদ কয়েকজন লোক নিয়ে আমার অফিসে খুবই খারাপ ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন। তিনি যে ভাষায় কথা বলেছেন তাতে আমি মনে করছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমাকে অপমান করা হয়েছে। এছাড়াও সাংসদ ওমর ফারুক তাকে হুমকি দেওয়ার জন্যই তার দফতরে এসেছিলো বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে অবস্থিত শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজটি রাবির অধীনে। সেই কলেজটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন সাংসদ ওমর ফারুক।

সম্প্রতি কলেজে একাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ম ভঙ্গ করে ভর্তি করানো হয়। এ কারণে নিয়ম-মাফিক ওই কলেজকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করে রাবির কলেজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাংসদ। এ কারণেই উপাচার্য দফতরে লোকজন নিয়ে এসে তাকে লাঞ্ছিত করেন বলেও জানা গেছে।

এ বিষয়ে সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কলেজের জরিমানা মওকুফ করার আবেদন জানাতে তার কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু, তিনি কেনো আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন তা আমার জানা নেই।

এমএএস/আরআই