ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

ঢাবি সিনেট নির্বাচন : সাংবাদিকের শাস্তি চেয়ে উপাচার্যকে চিঠি

প্রকাশিত: ০৯:৩০ এএম, ১৫ মে ২০১৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নীল দলের সভায় অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক যুগান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান নয়নের শাস্তি চেয়ে উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বরাবর চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক।

গত ৮ মে ‘হট্টগোল ওয়াকআউটে পণ্ড নীলদলের সভা’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের একাংশের বিরোধিতা করে এ চিঠি দেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বায়তুল্লাহ কাদেরী।

দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদের একাংশে নীল দলের সাধারণ সভায় সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের প্রতি বায়তুল্লাহ কাদেরীর তেড়ে আসার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

৯ মে অনেকটা গোপনীয়ভাবে উপাচার্যের কাছে শাস্তি চেয়ে চিঠি দিলেও ওই শিক্ষক যুগান্তরের কাছে সংবাদের কোনো অংশ নিয়ে প্রতিবাদ জানাননি। কিংবা সংবাদের সত্যতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেননি। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এক সাংবাদিকের শাস্তি চেয়ে চিঠি দেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক জ্যেষ্ঠ শিক্ষক।

ওয়ান ইলেভেনে দলের দুঃসময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের পক্ষে শক্ত অবস্থান নেয়া শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ বলেন, যুগান্তরে প্রকাশিত ঘটনায় কোনো ভুল ছিল না।

তিনি বলেন, দলের ঐতিহ্য ও অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে সাধারণ সভায় ড. আনোয়ার যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন বায়তুল্লাহ কাদেরী তার সঙ্গে বেয়াদবি করেন। তিনি চেয়ার থেকে এমনভাবে তেড়ে উঠে আসেন যেন তাকে মারবেন। এসব আগে কখনো দেখিনি।

নীল দলের সাবেক আহ্বায়ক ও ভুক্তভোগী শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সেদিন তার আচরণ মোটেও শিক্ষকসুলভ ছিল না। একজন শিক্ষক এমন আচরণ করতে পারেন না। দল যখন বড় হয় তখন বাইরের লোক ঢুকে যায়। তারাই এমন কাজ করতে পারেন। ৮ মে যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদের কোথাও কোনো ভুল ছিল না।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. বায়তুল্লাহ কাদেরী বলেন, আমাদের নীল দলের প্রোগ্রামে অনেক কথাবার্তা নিয়ে নানা বিতর্ক হয়। সেই সময়ে অনেকে ঝামেলা করার চেষ্টা করে উচ্চস্বরে কথা বলেছেন। আমরা সেগুলো প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি মৌখিকভাবে। কিন্তু প্রতিবেদক এক পক্ষের কথা শুনে প্রতিবেদন করেছেন। এ সময় আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়নি। আমার বক্তব্য নেয়া হয়নি। তাই আমি উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদকের শাস্তি চেয়ে আবেদন করেছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও নীল দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, সাধারণ সভায় ড. আনোয়ারের বক্তব্যের মাঝে অধ্যাপক ড. বায়তুল্লাহ কাদেরী যে আচরণ করেছেন তা শিক্ষকসুলভ ছিল না।

এমএইচ/এআরএস/এমএআর/আরআইপি