ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

‘যে শিক্ষাব্যবস্থা বৈষম্য সৃষ্টি করে তা আমরা চাই না’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ০২ জুন ২০২১

জাবির ছাত্র অধিকার পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দফতর সম্পাদক ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে যখন গার্মেন্টস চলছে, যানবাহন চলছে, রেস্টুরেন্ট-রিসোর্ট চলছে। তখন শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ই চলছে না। এখন যে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলছে এর মাধ্যমে মূলত রাষ্ট্র বৈষম্যের ব্যবস্থা করছে। গ্রামের যে গরীব মানুষ দু’বেলা খেতে পারে না তাদেরকে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের নামে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যে শিক্ষা ব্যবস্থা বৈষম্য সৃষ্টি করে তা আমরা চাই না।’

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে করা মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি। বুধবার (২ জুন) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু নাহিয়ান।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তরিকুল আলম বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও ক্যাম্পাস খোলার জন্য যে শর্ত দিয়েছে এরমধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষার্থীদের টিকাদান করা। জাবির সকল শিক্ষক-কর্মচারী ও অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে বাধা কোথায়? আমরা চাই যাতে অতি শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হোক।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

jagonews24

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলছেন যে হল নির্মাণ শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। অন্যদিকে প্রকল্প পরিচালক বলছে আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির আগে হলে শিক্ষার্থী উঠানো সম্ভব না। ক্যাম্পাস বন্ধের দেড় বছর পর শুনছি, হল নির্মাণকাজ শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে। এ কথা প্রমাণ করে যে শুধুমাত্র করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে আছে এরকম নয়। বরং যে কাজ চলছে সেখানে দুর্নীতির ধারা অব্যাহত রাখতেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

ছাত্রফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘করোনাকালে বাংলাদেশের ৪৭ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন হতাশা থেকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা না থাকা এর পেছনের একটি বড় কারণ। সারাদেশের শিক্ষকদের সংগঠন বলছে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার কথা। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলছেন হলের নির্মাণকাজ শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতে চাই শিক্ষা কার্যক্রম চললে কী উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করা সম্ভব না? নাকি ভেবে নেবো অনৈতিক ওদুর্নীতির মাধ্যমে কাজ নির্বিঘ্নে পরিচালনা করার জন্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।’

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের প্রচার সম্পাদক সাদিকুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া নাহলে আমরা আরো কঠিন আন্দোলনের পথ বেছে নেবো। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে উদ্যোগ নিবে’।

বিজ্ঞাপন

ফারুক হোসাইন/এসএমএম/এএসএম

বিজ্ঞাপন

পরবর্তী খবর

রাবি প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০২:৩৪ পিএম, ০২ জুন ২০২১

বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল খুলে দিয়ে ক্লাস পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবারও (২ জুন) এ দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি নিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনেও অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় ‘খুলে দাও দিতে হবে, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়, দাবি মোদের একটাই, হল-ক্যাম্পাস খোলা চাই’ এমন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় প্যারিস রোডে মানববন্ধনে দ্রুত সবাইকে টিকার আওতায় আনা, দীর্ঘ সেশনজট নিরসনে দ্রুত পরীক্ষা নেয়ার পাশাপাশি আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেয়ার ব্যাপারে বেশি গুরুত্ব দেয়ার দাবি জানান। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

RU--(2).jpg

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে প্রক্টর ড. লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পরীক্ষা নেয়ার পাশাপাশি নীতিমালাও দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বিষয়ে আগামীকাল একটি সভা ডেকেছি। সেখানে সব ডিন ও বিভাগীয় প্রধানসহ প্রশাসন আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত নেবেন। এই সার্বিক পরিস্থিতিতে কীভাবে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিচালনা করা যায়, তার একটি অভ্যন্তরীণ নীতিমালা তৈরি করার চেষ্টা করবে প্রশাসন।’

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নীতিমালা এবং রাবি শিক্ষক সমিতির অনুরোধে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল ৩ জুন সভা ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ মে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দ্রুত হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

সালমান শাকিল/এসজে/এমএস

পরবর্তী খবর

শাবিপ্রবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের নতুন ডিন অধ্যাপক দিলারা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট | প্রকাশিত: ০১:৫০ পিএম, ০২ জুন ২০২১

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের নতুন ডিন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন পলিটিক্যাল স্ট্যাডিজ বিভাগের অধ্যাপক দিলারা রহমান। আগামী তিন বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

বুধবার (২ জুন) সকালে ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুষদের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এর মধ্য দিয়ে তিনি সদ্য বিদায়ী ডিন ও সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. ফয়সল আহম্মদের স্থলাভিষিক্ত হলেন। দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠানে নতুন ডিনকে ডিনস ফোরামের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় এবং বিদায়ী ডিনকে ক্রেস্ট দেয়া হয়।

ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

jagonews24

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমে গুণগত মানের উন্নয়ন ও তা বজায় রাখতে ডিনবৃন্দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে ভালো শিক্ষক ও শিক্ষকদের মানোন্নয়নের প্রতি আরও জোর দিতে হবে।'

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি সবসময় ভালো শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করেছি। কারণ ভালো বীজ থেকে যেমন ভালো ফলন পাওয়া যায়। তেমনিভাবে ভালো শিক্ষক থেকে ভালো ছাত্র ও শিক্ষাকার্যক্রমের প্রত্যাশা করা যায়। ভালো শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়াটাও এক ধরনের দুর্নীতি। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশাসনের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- এপ্লায়েড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুশতাক আহমদ, ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার, লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম আবু সায়েম ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিদায়ী ডিন অধ্যাপক ড. ফয়সল আহম্মদ।

মোয়াজ্জেম আফরান/এসজে/জেআইএম

পরবর্তী খবর

সভার কার্যবিবরণীতে নিজ সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্তি, পদ থেকে অব্যাহতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ১০:০৫ পিএম, ০১ জুন ২০২১

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) অর্থকমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়নি এমন একটি বিষয় কার্যবিবরণীতে যোগ করে বাস্তবায়ন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগে অর্থ ও হিসাব দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১ জুন) জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. আবু তাহের।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিলে তিনি তা কার্যকর করেননি। এই কারণে তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের একটি প্রজ্ঞাপনের আলোকে গেল বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম অর্থ কমিটির সভায় প্রথম গ্রেড থেকে চতুর্থ গ্রেড পর্যন্ত সব শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ভাতা বাবদ ১৫০০ টাকা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু সভার কার্যবিবরণীতে পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কামাল উদ্দিন ভূইয়া নিজ উদ্যোগে পঞ্চম গ্রেডকে ১০০০ টাকা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত যুক্ত করে দেন এবং ডিসেম্বর মাস থেকে এ সুপারিশ বাস্তবায়ন করেন।

বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে এলে পুরো প্রক্রিয়াটিই বন্ধ রাখার জন্য মৌখিকভাবে এ কর্মকর্তাকে একাধিকবার নির্দেশনা দেয়া হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ এড়িয়ে গিয়ে ভাতা দেয়া অব্যাহত রাখায় এ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

এ ঘটনা তদন্তে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির ছায়াদউল্লাহ খানকে আহ্বায়ক, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামানকে সদস্য সচিব এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমানকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ বিষয়ে পদ হারানো কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘অর্থ কমিটিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মোবাইল-ইন্টারনেট ভাতা প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। আমি সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছি। এছাড়া ভাতা প্রদান প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার জন্য আমাকে লিখিতভাবে জানানো হয়নি। তাই আমি এটি বন্ধ করিনি।’

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নির্দেশ কার্যকর করাই অধস্তন ব্যক্তির দায়িত্ব। এছাড়া তিনি যদি লিখিত আদেশ চাইতো, তাহলে আমরা অবশ্যই অফিস আদেশ দিতাম।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক. ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অর্থকমিটির সভায় নতুন সিদ্ধান্ত যোগ করে তা বাস্তবায়ন করায় অর্থপরিচালককে পুরো প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলেও তা অমান্য করায় তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

এসজে/এমএস

পরবর্তী খবর

টিকার আবেদন করেনি ইবির ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৯:০৩ পিএম, ০১ জুন ২০২১

করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণে অনলাইনে আবেদন করেনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণে অনলাইন আবেদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বশেষ ৩০ মে (রোববার) পর্যন্ত সময় দেয়। এদিন পর্যন্ত সর্বমোট ছয় হাজার ৭৮৬ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী টিকার আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ছয় হাজার ৬০৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যা মোট শিক্ষার্থীর ৪৩ শতাংশ। বাকি ১৭৯ টি আবেদন করেছেন সেইসব শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী। যারা এখনও করোনার টিকা গ্রহণ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার মেহেদী হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনায় আমরা রোববার (৩০ মে) থেকে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছি।

রায়হান মাহবুব/আরএইচ/এমএস

পরবর্তী খবর

হল খুলে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে উপ-উপাচার্য ড. সামাদ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:০০ পিএম, ০১ জুন ২০২১

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে হল খুলে সশরীরে পরীক্ষার নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ।

মঙ্গলবার (১ জুন) সন্ধ্যায় অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সক্ষমতার বিষয় নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ মতামত ব্যক্ত করেন।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ বলেন, অনলাইন ক্লাসেই আমাদের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৪৫ শতাংশের মত। আরও ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের বাইরে। যেখানে অনলাইন ক্লাসে এত পরিমাণ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত তাদেরকে রেখে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া অযৌক্তিক। আমরা প্রথমে যখন অনলাইন ক্লাসের কথা বলেছিলাম, তখন বলেছি শুধুমাত্র ক্লাস অনলাইনে হবে। পরীক্ষা সশরীরে হবে। এখন অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার মত। আমাদের এক্ষেত্রে আরও বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবস্থার কথা বিবেচনা করে তিনি বলেন, আমাদের অনেক বয়স্ক শিক্ষক আছেন, যারা ইতোপূর্বে অনলাইন পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। অনেকের কম্পিউটার জ্ঞানও খুব বেশি নয়। এক্ষেত্রে তারা কীভাবে অনলাইনে পরীক্ষা নেবে? আবার নেটওয়ার্কও তেমন ভাল না। আর শিক্ষার্থীরাও গ্রামে-গঞ্জে থাকে, তাদের ডিভাইস ও নেটওয়ার্কের অপ্রতুলতা রয়েছে। তাদেরও অনলাইনে এক্সাম দেয়ার সক্ষমতা নেই। আমরাও তাদের জন্য কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, এছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের কম্পিউটার বা মোবাইলে লেখার দক্ষতারও একটা বিষয় আছে। সবাই সব পারবে না। আবার কেউ পিডিএফ করে পাঠাল। তার পিডিএফ আমাদের কাছে পাঠালে আমাদের ডিভাইস দিয়ে তাদের পিডিএফটা ওপেন নাও হতে পারে। এতে খুব বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।

শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকা দিয়ে হলে উঠানোর উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সামাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেও শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসার কথা বলেছেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে এক লাখ টিকার কিছু বেশি লাগতে পারে। এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই টিকা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা আরও এক মাস অপেক্ষা করবে। তারপরও টিকা দিয়ে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে হবে। অন্যথায় এসব মিটিং কোনো ফলপ্রসূ হবে না।

আল সাদী/এআরএ/এমকেএইচ