ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

রাবির কবরস্থান যেন ‘মাদকসেবীদের আখড়া’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | রাবি | প্রকাশিত: ০৮:০৪ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২২

কবরস্থানকে সম্মান ও পবিত্রতার জায়গা মনে করা হয়। অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কবরস্থানকে মাদক সেবনের ‘আস্তানা’ বানিয়ে ফেলেছে বখাটেরা। সেখানে নিয়মিত বসে মাদকের আড্ডা। এমনকি জুয়ার আসরও বসছে সেখানে। নির্জনতাকে পুঁজি করে স্থানীয় মাদকসেবীরা এটিকে আখড়ায় পরিণত করলেও তা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেই প্রশাসনের।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কবরস্থানের উত্তর-পশ্চিম পাশের দেয়ালে কিছুটা ভাঙন রয়েছে। ওই দেয়াল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে মাদক সেবনের আস্তানা। বড় আকারে গর্ত করে মাদকদ্রব্যের উচ্ছিষ্ট রাখার ব্যবস্থাও করা হয়েছে সেখানে। ফেনসিডিল, গাঁজা, মদ ও ইয়াবা সেবনের নানা উপকরণে ভর্তি সেই গর্ত। গর্তটির কয়েক হাত পরেই রয়েছে কবর।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যা গড়ালেই শুরু হয় মাদকসেবীদের আড্ডা। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। শুধু মাদক নয়, সেখানে প্রায় সময় অনৈতিক কার্যক্রমের ঘটনাও ঘটতে দেখেছেন স্থানীয় লোকজন।

jagonews24

কবরস্থানে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জায়গাটি খুবই ভয়ংকর, যেজন্য তারা সেখানে যান না। সেখানে গেলে ছিনতাইয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কবর জিয়ারতে এলে তারা বিষয়টি জানান। তারা আরও বলেন, কবরস্থান মসজিদে প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটছে। জুতা থেকে শুরু করে সাইকেলও চুরি হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী জাগো নিউজকে বলেন, বহিরাগত লোকজন গ্রুপ আকারে প্রতিদিন রাত ৭-৮টার দিকে এখানে এসে মাদকের আড্ডা বসায়। প্রায় সারারাত আড্ডা চলতে থাকে। লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলাও চলে এই পবিত্রস্থানে। এমনকি মাঝেমধ্যে এখানে নারী নিয়েও আসা হয়।

jagonews24

কবরস্থানে মাদকের আড্ডার ব্যাপারটি ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কবরস্থানকে রক্ষা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইচ্ছে করলে দুদিনের মধ্যেই মাদকমুক্ত করতে পারে।’

এ বিষয়ে কবরস্থানের নিকটে অবস্থিত চন্দ্রিমা থানার পরিদর্শক এমরান হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে মাদকসেবন ও জুয়ার আসর সম্পর্কে এখনো যথেষ্ট তথ্য আসেনি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

jagonews24

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘কবরস্থানে এমন অপকর্ম সম্পর্কে আমরা আগে জানতাম না। তবে আজ ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘পরপর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গার ব্যাপারে সচেতন আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এসব জায়গায় পর্যাপ্ত বাতি, সিসি ক্যামেরা এবং পুলিশ মোতায়েনসহ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

এসআর/এএসএম