রাবিতে ছাত্রী বাসের সঙ্কট
‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এখন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সমান। কিন্তু তারপরও ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের বাসের সংখ্যা অনেক কম। ছাত্রীদের বাসগুলোতে এমনভাবে আমাদের আসা-যাওয়া করতে হয় যেনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের মানুষ মনে করেন না। এভাবেই বিভিন্ন সমস্যার কথা বলছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্রী।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিঅ্যান্ডবিগামী একটি বাসে গাদাগাদি করে ওঠার চেষ্টা করছেন ছাত্রীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছু ছাত্রীর সুযোগ মেলেনি বাসের ভিতর ঢোকার। এক পর্যায়ে বেশ কিছু ছাত্রী বাস থেকে নেমে আসে। এই রুটে আর একটি বাস দেয়ার জন্য তারা তীব্র দাবি জানান।20160224090412.jpg)
এই ঘটনায় পর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবহন দফতরের প্রশাসক অন্য আর একটি বাস দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নয় ছাত্রীরা। মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সান্তা সূত্রধর জাগো নিউজকে বলেন, ‘ছাত্রীরা আন্দোলন করলো আর আজকের জন্য একটা বাস দিলো। এটা কোনো সমাধান হতে পারে না। এই জন্য দরকার স্থায়ী কোনো সমাধান।’
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে বাসে বাঁদুড়-ঝোলা হয়ে যাতায়াত করা মেয়েদের জন্য আরও বেশি সমস্যা। এতে বিপদ হতে পারে যে কোনো সময়।’
সান্তার সঙ্গে কথা মিলিয়ে অনেক শিক্ষার্থী একই কথা বলেন। এই রুটে আরও বাস চলাচলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তীব্র দাবি জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যারয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ৩৮টি বাস রয়েছে। তার মধ্যে নিয়মিত বিভিন্ন রুটে চলাচল করে ২৮টি বাস। আর ৪টি একেবারে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। আর বাকিগুলো অনেক পুরাতন হওয়ায় প্রায় নষ্ট হয়ে বাসস্ট্যান্ডে পড়ে থাকে।20160224090444.jpg)
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক মোহা. মাইনুল হক জাগো নিউজকে বলেন, আসলে শিক্ষার্থী যে দাবি করছে তা এই পরিস্তিতিতে সমাধান করা সম্ভব নয়। তিনি এই সমস্যার জন্য দায়ী করেন ম্যান পাওয়ারকে। তিনি বলেন, আমাদের এখন ৫৭ জন চালক প্রয়োজন কিন্তু আছে ৩০ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন মাতিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি পরিবহন প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি এই সমস্যাটি জানতাম না। পরিবহন দফতর থেকে আমাকে জানানো হলো। আমি সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করবো।’
রাশেদ রিন্টু/এসএস/এবিএস