ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
নবীনদের পদচারণায় মুখর ক্যাম্পাস
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিন। কিছুটা জড়তা আর এক বুক স্বপ্ন নিয়ে উচ্চশিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে প্রবেশ। আর এ স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় প্রতিটি বিভাগের উদ্যোগে নানা আয়োজনে তাদের বরণ করে নেওয়া হয়।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিজস্ব আয়োজনে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল, কলম, মিষ্টি, খাবার ও ব্যাগ উপহার দিয়ে বরণ করে নেন। বিভিন্ন বিভাগের সামনে আলপনা ও পোস্টারিং করে নতুনদের স্বাগত জানানো হয়।
ক্যাম্পাসের ঝাল চত্বর, ডায়ানা চত্বর, টিএসসি, বটতলা প্রাঙ্গণ, বিশ্ববিদ্যালয় লেক, ক্রিকেট ও ফুটবল মাঠে নয়া শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নবীন শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধ হয়ে নিজেদের মধ্যে এবং সিনিয়রদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন। এসময় তাদের ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা বিষয়ে পরামর্শ দেন সিনিয়ররা। আবার অনেকে দলবদ্ধ হয়ে গান-আড্ডায় সময় পার করছেন।
আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠান পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, প্রক্টর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ। এসময় নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা মূলক পরামর্শ দেন তারা।
উপাচার্য বলেন, সাহিত্য মানুষকে সমৃদ্ধ ও উদার করে। অন্ধত্ব থেকে মুক্তি দেয়। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে যা যা গুণাবলী দরকার তা অর্জনে এগিয়ে রাখে সাহিত্য। আমার চমৎকার লেগেছে, এক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় বক্তৃতা শুনেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থী আরিফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে গর্ববোধ করছি। ক্যাম্পাসের প্রথমদিনই সিনিয়রদের সঙ্গে গান-আড্ডায় মেতেছিলাম। একদিনেই অনেকটা আপন করে নিয়েছেন তারা। এরকম আনন্দঘন পরিবেশ এর আগে পাইনি।
আরেক নবীন শিক্ষার্থী উর্মি খাতুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পছন্দের বিভাগে ভর্তি হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। প্রথমদিনের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি সফল হয়ে দেশ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করতে চাই।
রুমি নোমান/এমআরআর/জিকেএস