জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সমাবর্তনে আসা শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ক্যাম্পাস
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে শনিবার। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সমাবর্তন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে সংশ্লিষ্টদের। সমাবর্তন গাউন ও ক্যাপ পরে দলে দলে বিভিন্ন পোজে ছবি তুলতে দেখা যায় সদ্য পাশ করা গ্রাজুয়েটদের।
এবারের সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
মূল আয়োজনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্যান্ডেল তৈরি এবং সাজসজ্জার কাজ চলছে। ক্যাম্পাস পরিছন্নতা, অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে নির্দেশনা সংবলিত সাইনপোস্ট, সড়কবাতি, পার্কিং এলাকার সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজ করছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের চৌরঙ্গী, পরিবহন চত্বর, জাকসু ভবন, শহীদ মিনার এবং মুক্তমঞ্চসহ অনুষদগুলোর সামনে গাউন পরে ছবি তুলতে দেখা যায় গ্রাজুয়েটদের।
আরও পড়ুন: ৪৯ বছরে জাবিতে মাত্র ৫ সমাবর্তন!
সদ্য পাশ করা গ্রাজুয়েট তিথি বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর কাছে সমাবর্তন অনেক বেশি গৌরবের। পাঁচটি বছর অনেক কষ্ট-পরিশ্রমের পর একটি সার্টিফিকেট অর্জন করেছি আর সে সার্টিফিকেটটা যদি একটি সমাবর্তনের মাধ্যমে পাওয়া যায় সেটি নিশ্চয়ই অনেক বেশি আনন্দের।’
সমাবর্তনপ্রত্যাশী তানজিলুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষাজীবন শেষ করেছি আরও দুই-তিন বছর আগে। এবারের সমাবর্তনে অংশ নিতে পেরে খুবেই ভালো লাগছে। এটা আমার কাছে একটা বড় রকমের পাওয়া। আমরা চাই প্রতিবছর সমাবর্তন হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাজীবনে আমাদের বাবা-মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। তাদের কারণে আমাদের এ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আসা। অনেকের ইচ্ছা থাকে বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান উপভোগ করার। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখানে কোনো সুযোগ রাখেনি। আমরা চাইবো পরবর্তী সমাবর্তনগুলোতে গ্রাজুয়েটরা যাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উপভোগ করতে পারেন সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সদয় দৃষ্টি দিবেন।’
আরও পড়ুন: জাবির ষষ্ঠ সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশনের সময় বৃদ্ধি
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নুরুল আলম বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ষষ্ঠ সমাবর্তন আয়োজনের সংকল্প ব্যক্ত করেছিলাম। এতো স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাবর্তন আয়োজন করতে পেরে আমি অভিভূত। সমাবর্তন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য আপনার সহযোগিতা কামনা করছি।’
ষষ্ঠ সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য ১৫ হাজার ২১৯ জন গ্র্যাজুয়েট রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এদের মধ্যে নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী ১১ হাজার ৪৪৪ জন, উইকেন্ড প্রোগ্রামের তিন হাজার ৪৬১ জন ও এমফিল-ডিগ্রির ৩৪ জন ও পিএইচডি সম্পন্নকারী ২৮০ জন রয়েছেন। সমাবর্তনে একাডেমিক ফলাফলের স্বীকৃতি পাচ্ছেন ১৬ শিক্ষার্থী।
মাহবুব সরদার/আরএইচ/জেআইএম