ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

১০ টাকা বাড়লো স্বাদ-গন্ধহীন খাবারের, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | চবি | প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) হলে দফায় দফায় খাবারের দাম বাড়লেও মান বাড়েনি। এবার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দোহাই দিয়ে খাবারের দাম ৩৫ টাকা করা হয়েছে। রমজানে সেহরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা। এ নিয়ে ফুঁসছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এদিকে শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেলে দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৪টি হলের মধ্যে তিনটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। বাকি ১১টি হলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী থাকেন। হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত হওয়ায় খাবারের জন্য ভরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং। ডাইনিংয়ের খাবারের মান যাচ্ছে তাই। মাছ-মাংসের টুকরো খুবই ছোট। ডাল বলতে শুধুই পানি। এতো কিছুর পরও পকেটের দিকে তাকিয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ডাইনিংয়ে খাবার খান। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য সীমিত মূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য স্টাফদের বেতন, ডাইনিং সামগ্রী, গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল ভর্তুকি হিসেবে কর্তৃপক্ষ বহন করে। তবে ডাইনিং ম্যানেজারদের দাবি এতো কিছুর পরেও তারা লাভের মুখ দেখেন না।

আন্দোলনকারী শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন জানান, হলের খাবারে এমনিতেই স্বাদ থাকে না। তাও কষ্ট করে আমাদের খেতে হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া হঠাৎ এ দাম বৃদ্ধি কেন? ২৫ টাকার খাবার ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়বেন। রমজানে অনেক শিক্ষার্থীদের টিউশন থাকে না। তারা কিভাবে চলবে? আজকের মধ্যে দামের ব্যাপারে সুরাহা না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবো।

শাহ আমানত হলের আবাসিক শিক্ষক হাসান মুহাম্মদ রোমান জাগো নিউজ কে বলেন, ডাইনিং ম্যানেজাররা দীর্ঘদিন থেকে দামের ব্যাপারে অভিযোগ করে আসছেন। বাজারে দাম বেশি তাই অল্প দামে শিক্ষার্থীদের খাবার দিতে পারছেন না। আবার খাবার দিলেও মান ঠিক রাখা যায় না। তাই হল প্রভোস্টরা বসে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীদের কষ্টের ব্যাপারটাও বুঝতে পারছি। রাতে এ ব্যাপারে প্রশাসন বসবে এবং নতুন দাম নির্ধারণের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের ব্যাপারে জানতে পেরেছি। আসলে সব কিছুর দাম বেশি। তাই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে রাতে আমরা এ বিষয়ে আবার বসবো। আমরা সব কিছু বিবেচনা করে দাম নির্ধারণের চেষ্টা করবো।

আহমেদ জুনাইদ/আরএইচ/এএসএম