ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিসর বাড়াতে হবে: নারায়ন চন্দ্র

প্রকাশিত: ১২:০৪ পিএম, ০৫ মার্চ ২০১৬

কৃষিবিদদের জন্যই আমরা সফলতার সম্ভবনা দেখি। তাদের জন্য আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছি। কৃষিবিদরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের সংগঠিত করেছে, প্রয়োজন অনুযায়ী দিচ্ছে পরামর্শ। আর সেখান থেকে আমরা পাচ্ছি সোনার ফসল। তাই শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিসর বাড়াতে হবে আর এতে সমৃদ্ধ হবে দেশ ও জাতি বলে বলেছেন বাংলাদেশের মৎস ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এনিমেল হাজবেন্ড্রী অ্যান্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগের যুগপূর্তি ও প্রথম অ্যালামনাই পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ দূষণের ফলে প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে পড়ছে নিত্য নতুন রোগ। এতে মানুষের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে সকল প্রাণিকূল। তাই এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন প্রতিষেধক ভ্যাকসিন। একইভাবে চলমান বিভিন্ন সমস্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে নেতৃত্ব দিতে হবে তরুণদের। অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করতে তাদের বিকল্প নেই।’

এর আগে দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান, কৃষি অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক সাহানা কায়েস, প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরিচালক ড. এ কে এম নজরুল ইসলাম ও রেনাটা লিমিটেড এর প্রাণিস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান মো. সিরাজুল হক।

অনুষ্ঠানের একাডেমিক সেশনে ‘দি রোল অব ভেটেরিনারিয়ান্স ইন ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক নিতিশ চন্দ্র দেবনাথ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি অধ্যাপক মো. মমতাজুর রহমানকে আজীবন সম্মাননা, ড. মো. মাহবুব আলমকে পিএইচডি সম্মাননা ও ডা. মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফকে স্নাতকোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া স্নাতক পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধা সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বিভাগের সভাপতি ড. কে এম মোজাফ্ফর হোসেনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের ১২ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. জালাল উদ্দিন সরদার ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিভাগের শিক্ষক ড. সৈয়দ সারওয়ার জাহান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম কামরুজ্জামান।

বিভাগের যুগপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার প্রথম দিনে আরো আছে সিম্পোজিয়াম, আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি। দ্বিতীয় দিনে রয়েছে শিক্ষার্থী বরণ ও বিদায়, স্মৃতিচারণ ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী পূনর্মিলনী।

রাশেদ রিন্টু/এফএ/এবিএস