ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

শাবিতে বাড়ছে চুরি-ছিনতাই

প্রকাশিত: ০৪:৪৬ এএম, ১০ মার্চ ২০১৬

প্রশাসনের অবহেলা ও নজরদারির অভাবে ভেঙে পড়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অরক্ষিত হয়ে পড়েছে ক্যাম্পাস। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সীমানা প্রাচীর না থাকায় সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্যাম্পাসে ঘটছে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, লাশ উদ্ধারসহ নানা ঘটনা। দীর্ঘ দিন ধরে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে শিক্ষার্থীরা দাবি জনালেও এ বিষয়ে প্রশাসন কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

সীমানা প্রাচীর না থাকায় বিভিন্ন স্পট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে অপরাধমূলক কাজ করে পালিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। গত দুই বছরের ক্যাম্পাসে ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক ছুরি, ছিনতাই ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, একাডেমিক ভবন ‘ই’, শহীদ মিনার এলাকা, সৈয়দা সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের পার্শ্ববর্তী টিলাসহ বিভিন্ন স্পটে অপরাধ সংগঠিত হয়। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাস ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ২য় ছাত্রহল সংলগ্ন পুকুর পাড় থেকে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ, ২০১৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সৈয়দা সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের পেছনে গাজী কালুর মাজারের টিলার পাশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী বড়গুল এলাকার বাচু মিয়ার (২৫) মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ, চলতি বছরের ৯ জানুুয়ারি মিউজিক্যাল সংগঠন ‘রিমের’ বাদ্যযন্ত্র চুরি, ২৮ জানুয়ারি ড. এম ওয়াজেদ মিয়া আইঅইসিটি ভবন থেকে কম্পিউটার যন্ত্রাংশ চুরি, ১২ জানুয়ারি পরিসংখ্যান বিভাগের একটি কক্ষ থেকে কম্পিউটার ল্যাবের যন্ত্রাংশ চুরি, ১৭ ফেব্রুয়ারি শারীরিক শিক্ষা ভবনে চুরিসহ নানা ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার (৪ মার্চ) ক্যাম্পাসে লোকপ্রশাসন বিভাগের এক ছাত্রীর কাছ থেকে ব্যাগ, মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাছাড়া আবাসিক হলগুলোতে নিয়মিত চুরির ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় প্রশাসন কিংবা পুলিশ কাউকে সনাক্ত করতে পারেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে জানা যায়, ৩২০ একর আয়তনের এই সবুজ ক্যাম্পাসে নিজস্ব ও বেসরকারি সব মিলিয়ে ৭০ জনের অধিক নিরাপত্তা প্রহরী (গার্ড) রয়েছে। এর মধ্যে প্রতি দিন দুই একজন অনুপস্থিত থাকে। তাছাড়া ক্যাম্পাসে টহল দেয়ার জন্য আলাদা কোন গাড়িও নেই।

সীমানা প্রাচীরের মাধ্যমে সুরক্ষিত না থাকায় ক্যাম্পাসে এমন দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক আহ্বায়ক গিয়াস বাবু বলেন, সীমানা প্রাচীর ক্যাম্পাসের সকলের নিরাপত্তার জন্য জরুরি। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। তবে আশা করি, প্রশাসন নিজে উদ্যোগী হয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করবে।

যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. ইশরাত ইবনে ইসমাইল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সীমানা প্রাচীর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি জটিল ও বড় ইস্যু। আমি যতটুকু জানি এটি প্রক্রিয়াধীন আছে।

সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, শুধু সীমানা প্রাচীর না থাকার কারণে এসব ঘটনা ঘটেনি। এসবের সঙ্গে অন্যান্য কারণও জড়িত। এসব দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতার প্রয়োজন।

আব্দুল্লাহ আল মনসুর/এসএস/আরআইপি