ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

বদরুন্নেসা কলেজ ছাত্রলীগ

সমাবেশ থেকে ফেরার পর ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৫১ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সমাবেশ থেকে ফেরার পর ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে জড়িয়েছে রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। তবে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার সাইমুন অভিযোগ করেন, তার অনুসারীদের ওপর সভাপতি সেলিনা আক্তার শেলীর অনুসারীরা হামলা করেছেন। আর সভাপতি দাবি করেন, কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ হয় নাই।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, কর্মসূচি থেকে সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে ফিরলে গেটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে প্রথমে হালকা ধাক্কাধাক্কি লাগে। এসময় সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে তা রূপ নেয় সংঘর্ষে। এসময় চিৎকারের শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিনা আক্তার শেলী উপস্থিত হন। আর সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার সাইমুন তখনও ক্যাম্পাসে ফেরেননি।

আরও পড়ুন: কোথায় পাগলা মলম লাগাতে হবে ছাত্রলীগ জানে: ইনান

সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের অভিযোগ, তাদের ওপর প্রথম হামলা চালান সভাপতির অনুসারী ওহি, লাবনী, লক্ষ্মী, শ্রুতি ও সাদিয়া। পরে আরও বেশ কয়েকজন মিলে হল গেটের ভেতরে টেনে নিয়ে সাত-আটজনকে মারধর করেন। এতে শাকিলা, তনিমা, শাহিনুর, দোলন, হাফসাসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার সাইমুন বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ হয় নাই। তবে সভাপতি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে হামলার নির্দেশনা দিয়েছেন। আজকে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম ছিল। প্রোগ্রাম শেষে আমি বাইরে ছিলাম। সন্ধ্যায় আমার কর্মীরা ক্যাম্পাসে ফিরলে শেলীর উপস্থিতিতে তার অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা করে। আমার মেয়েদের হাত কেটে দিছে, কোমরে লাথি মারছে, ঝাড়ু দিয়ে মারছে।

আরও পড়ুন: বৃষ্টি-কাদা উপেক্ষা করে সোহরাওয়ার্দীতে নেতাকর্মীদের ঢল

তার সঙ্গে সভাপতির কোনো মনোমালিন্য নাই দাবি করে সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, কেন মারছে আমি জানি না। তারা কেন এমনটা করলো এটা জানার জন্য আমি সভাপতিকে ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমার ফোন রিসিভ করেন নাই। আমার কর্মীরা আহত হলে প্রেসিডেন্ট তার কর্মীদের নিয়ে হলে চলে যান। আমার মেয়েরা মারামারি করার সুযোগই পায় নাই। তারা আমার মেয়েদের ফোন ভেঙে ফেলছে, টাকা নিয়ে গেছে।

সংঘর্ষে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিনা আক্তার শেলী বলেন, এরকম কোনো কিছুই হয়নি। ছাত্রলীগের সমাবেশ শেষে আমাদের কর্মীরা কলেজ গেট দিয়ে ঢুকছিলেন। তখন আগে-পরে ঢোকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। আমি তখন রুমে ছিলাম। চিৎকার শুনে বাইরে এসে সবাইকে ধমক দিয়ে সরে যেতে বলি। ঝামেলার সময় সাধারণ সম্পাদকের একজন কর্মীর ফোন ভেঙে যায়। আমি সেটা ঠিক করিয়ে দেবো বলেছি।

আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সক্রিয় থাকার শপথ ছাত্রলীগের

আহতদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব সামান্য ঝামেলা হয়েছে। এতে কেউ আহত হওয়ার কথা নয়।

সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সেখানে সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন না। একজনের হয়তো হাতের চুড়ি ভেঙে গিয়ে সামান্য কেটে গেছে। কেউ গুরুতর আহত হননি। এখন কেউ যদি রুমে যেয়ে হাতে ব্যান্ডেজ করে ছবি তুলে বলে আহত হয়েছে তাহলে তো কিছু করার নেই।

কলেজ হোস্টেলের মেট্রন মোসা. তাহমিনা খাতুন বলেন, ঘটনার সময় সভাপতি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। ঝামেলার শব্দ শুনে তিনি রুম থেকে বাইরে এসে ঝামেলা থামিয়ে দেন। ঘটনার শুরুর দিকে তিনি সেখানে ছিলেন না বা তিনি হামলা করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, বিষয়টি আমি এখনো শুনিনি। এ বিষয়ে আমি অবগত নই।

নাহিদ হাসান/জেডএইচ/