বিএনপির দু’গ্রুপের বাকবিতণ্ডার ভিডিও করায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

রাজবাড়ীর কালুখালীর চরপাতুরিয়া বালু মহালের দরপত্র আহ্বান নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের বাকবিতণ্ডা চলাকালে ভিডিও করতে গেলে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের আম্রকানন চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

এতে মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিক ইমরান হোসেন মোনিম (৪১) মাথায় আঘাত পান। পরে তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সদর উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।

জানা যায়, কালুখালী চরপাতুরিয়া বালু মহালের দরপত্র আহ্বানকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় পেশাগত কাজে ভিডিও ধারণ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫-২০ জন ইমরান হোসেনের ওপর হামলা করেন। তাকে এলোপাতাড়ি মারধর ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়।

এসময় জেলা বিএনপির নেতা রেজাউল করিম পিন্টুসহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে ডিবিসি টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি দেবাশিষ বিশ্বাসের সহযোগিতায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও নীরব ভূমিকা পালনের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান ও জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমানসহ অনেকে হাসপাতালে গিয়ে ইমরানের খোঁজ খবর নেন।

আহত ইমরান হোসেন মোনিম বলেন, বালু মহালের দরপত্র নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের বাকবিতণ্ডার ভিডিও ধারণ করে চলে আসার সময় ১৫-২০ জনের একদল অপরিচিত মানুষ এসে কেন ভিডিও করেছি বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা এলোপাতাড়ি মারধর করে শার্টের বোতাম ছিঁড়ে ফেলে। মারতে মারতে একপর্যায়ে কোনো একটি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে জখম করে। এসময় বিএনপি নেতা পিন্টু ও আক্কাস এসে আমাকে উদ্ধার করে। জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচার ও স্বাধীন সাংবাদিকতার সুযোগ সৃষ্টির দাবি জানান তিনি।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, পুলিশের তৎপরতার কারণে ঘটনা বেশি বড় হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রুবেলুর রহমান/এফএ/জেআইএম