ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বরগুনার ১০ গ্রামে ঈদ উদযাপন

জেলা প্রতিনিধি | বরগুনা | প্রকাশিত: ০৩:৩৩ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২৫

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বরগুনার কয়েকটি গ্রামে একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। সদর উপজেলা, বেতাগী, আমতলী ও পাথরঘাটা উপজেলার কিছু গ্রামে আগাম ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৩০ মার্চ) সৌদি আরবে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পরই এসব এলাকার মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেন। এর আগে দেশটির সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা শুরু করেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনা পৌর শহরের আমতলারপার, সদর ইউনিয়নের পাজরাভাঙ্গা ও কালিরতবক, গৌরীচন্না ইউনিয়নের ধুপতি ও গৌরীচন্না, বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোজখালী, কুকুয়া ইউনিয়নের কুকুয়া, পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের সিংড়াবুনিয়া ও কাকচিড়া গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। মূলত একদিন আগে ঈদ উদযাপন করা সবাই মির্জাখীল দরবার শরিফ ও কাদেরিয়া দরবার শরিফসহ বিভিন্ন দরবারের অনুসারী।

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বরগুনার ১০ গ্রামে ঈদ উদযাপন

সরেজমিন বেতাগী উপজেলার গলাচিপা এলাকায় দেখা যায়, কাদেরিয়া দরবার শরিফের অনুসারীরা সকালে মল্লিক বাড়ি জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করছেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে সবাই শরবত পান করেন। এরপর তারা পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে একে অপরের বাড়ি যাচ্ছেন।

ঈদের নামাজে অংশ নেওয়া রবিউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘হাদিস অনুযায়ী পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় চাঁদ দেখা গেলে ঈদ পালনের নির্দেশ রয়েছে। তাই সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যাওয়ায় আমরা ঈদ উদযাপন করেছি। এটি আমাদের জন্য আনন্দের।’

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বরগুনার ১০ গ্রামে ঈদ উদযাপন

বায়জিদ মল্লিক নামের আরেক মুসল্লি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। প্রতিবছরই আমরা এভাবে ঈদ উদযাপন করি।’

এ বিষয়ে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বরগুনার কিছু এলাকায় ঈদ উদযাপিত হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঈদের নামাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

নুরুল আহাদ অনিক/এসআর/এমএস