ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সীমান্তে ইছামতী নদীতে ভাসা যুবকের মরদেহ নিয়ে গেলো বিএসএফ

জেলা প্রতিনিধি | ঝিনাইদহ | প্রকাশিত: ১১:৪০ এএম, ১২ এপ্রিল ২০২৫

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তের ইছামতী নদীতে ভেসে ওঠা এক যুবকের মরদেহ নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মরদেহটি ওয়াসিম আলী (২৪) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের বলে শনাক্ত করেছেন তার সঙ্গে ভারতে প্রবেশ করা অন্যরা।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।

অভিযোগ উঠেছে, বিএসএফ নির্যাতনের পরে ওই যুবককে নদীতে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয় বাংলাদেশিরা মরদেহ ভাসতে দেখে বিজিবিকে খবর দেন।

নিহত ওয়াসিম মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের বুনোপাড়ার রমজান আলীর ছেলে বলে শনাক্ত করেছেন তার সঙ্গীরা।

পরিবারের দাবি, বিএসএফ নির্যাতন করে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে রাখে। এ ঘটনার পর ওয়াসিমের গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাঘাডাঙ্গা ইউপি সদস্য ওবায়দুল ইসলাম জানান, শুক্রবার হুদাপাড়া গ্রামের এক কৃষক দুপুরে মাঠে যাওয়ার সময় নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে যায় ও বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তবে নদীর ভারতীয় অংশে মরদেহ থাকায় বিজিবি তা উদ্ধার করতে পারেনি। মরদেহের বিষয়ে বিএসএফকে জানিয়েছে বিজিবি। পরে বিএসএফ ওই যুবকের মরদেহ নদী থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে।

জানা গেছে, ওয়াসিম আলী মাদক পাচারের জন্য ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন মহেশপুরের সলেমানপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান, কাঞ্চনপুর গ্রামের রাজু, শাবুদ্দিন, মানিক ও বাঘাডাঙ্গার আব্দুল ওয়াহেদ। ওয়াসিমের সঙ্গীরা ভাসমান মরদেহটি ওয়াসিমের বলে নিশ্চিত করেছেন।

ওয়াসিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান বলেন, ওয়াসিম ৩-৪ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। ৮ এপ্রিল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গিয়েছিল। ফেরার সময় বিএসএফ তাকে আটক করে। আমরা জানতে পেরেছি, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

ওয়াসিমের বাবা রমজান আলী জানান, বিভিন্ন সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন এটি তার ছেলের মরদেহ। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত মরদেহ উদ্ধারের দাবি জানান।

৫৮ বিজিবি খালিশপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম জানান, বিষয়টি বিএসএফকে জানানো হয়েছে। এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি মরদেহটি বাংলাদেশি না ভারতীয়।

মহেশপুর থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা মাসুমা বিশ্বাস বলেন, বিজিবি বিষয়টি দেখছে। বিএসএফ মরদেহটি নদী থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। বিএসএফ-বিজিবি পর্যায়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

শাহজাহান নবীন/এমএন/এমএস