ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

এক বছরে পাগলা মসজিদ থেকে ৫২৯ দুরারোগ্য রোগীকে চিকিৎসা অনুদান

জেলা প্রতিনিধি | কিশোরগঞ্জ | প্রকাশিত: ০২:৪৮ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ থেকে ২০২৪ সালে ৫২৯ জন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত দরিদ্র ও দুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসার অনুদান দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খোলা শেষে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে মোট ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৬ টাকা। ব্যাংকে রাখা টাকার লভ্যাংশ থেকে ২০২৪ সালে ক্যানসার, ব্রেইন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কিডনি রোগ, প্যারালাইসিসসহ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ৫২৯ জন দরিদ্র ও দুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসার অনুদান দেওয়া হয়েছে।

এক বছরে পাগলা মসজিদ থেকে ৫২৯ দুরারোগ্য রোগীকে চিকিৎসা অনুদান

জানা গেছে, চার মাস ১২ দিন পর শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১১টি লোহার দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পার্শ্ববর্তী জামিয়া এমদাদিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মাচারীসহ চার শতাধিক মানুষের একটি দল এসব বস্তাভর্তি টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছে।

এর আগে তিন মাস ১৪ দিন পর গত বছরের ৩০ নভেম্বর পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া পাওয়া গিয়েছিল বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার।

পাগলা মসজিদ পরিচালনা পর্ষদের কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত মুসলিম ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এক জনপদের নাম কিশোরগঞ্জ। কিশোরগঞ্জ শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদীর পাড়ে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ। বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহৎ আয়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এই মসজিদ। যাকে ঘিরে রয়েছে নানান আলোচনা ও গুঞ্জন। প্রাচীন ও আধুনিক স্থাপত্যের বিখ্যাত নানা দর্শনীয় স্থান রয়েছে কিশোরগঞ্জে। প্রায় ২৫০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ এরই একটি। শহরের পশ্চিম পাশে হারুয়া নামক এলাকায় নরসুন্দা নদীর কোলঘেঁষে গগনচুম্বী মিনার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দুই শতাব্দী পুরোনো এ মসজিদটি।

এক বছরে পাগলা মসজিদ থেকে ৫২৯ দুরারোগ্য রোগীকে চিকিৎসা অনুদান

মসজিদটিতে রয়েছে ১০টি লোহার দানবাক্স। প্রতি তিন মাস পরপর বাক্সগুলো খোলা হয়। কিন্তু বরাবরই দানবাক্সে পাওয়া টাকার পরিমাণ দেখে সবার চক্ষু চড়কগাছ। দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোয় উঠে আসে মসজিদের দানবাক্স থেকে পাওয়া কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার তথ্য এবং বিভিন্ন রকমের দান এবং মানতের চিত্র। দানবাক্স থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ অর্থের লভ্যাংশের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মানবকল্যাণসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসার উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।

মসজিদটিকে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

এসকে রাসেল/এমএন/জিকেএস