ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফরিদপুরে বৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৩:৩০ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২৫

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে গাছপালা, ঘরবাড়িসহ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাত্র ১০ মিনিটের ঝড়ে উপজেলার প্রায় ৭ থেকে ৮টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফরিদপুরে বৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তর-দক্ষিণ দিক থেকে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় আঘাত আনে। উপজেলার পৌরসদরের রামপুর, লিডাঙ্গা, মিঠাপুর, নওয়াপাড়া, হিদাডাঙ্গা, বুড়াইচ, বাকাইলসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম এলাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কাসেম সরদার বলেন, হঠাৎ বৃষ্টি ও প্রচণ্ড বাতাসে ঘরবাড়ি গাছপালা উপড়ে পড়ে। অসংখ্য ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাকাইল গ্রামের বিভূতি মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, ঝড়ে আমার দুই তিনটি রেন্ট্রি গাছ ও ঘর ভেঙ্গে গেছে। ধান ও সবজি খেতেরও বেশ ক্ষতি হয়েছে।

পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাসেম সরদার, উজ্জ্বল হোসেন, বাশার শেখ, আতিয়ার রহমান, লাবু মিয়া, আলমগীর হোসেনসহ বেশ কয়েকটি পরিবারের বাড়ি-ঘর ভেঙে গেছে।

ফরিদপুরে বৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ

আলফাডাঙ্গা উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান জাগো নিউজকে বলেন, গাছপালার কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধান ও বিভিন্ন ধরনের সবজির কিছুটা ক্ষতি হলেও ফসলের বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।

এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার ফাহিম হোসাইন ইভান জাগো নিউজকে বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার পৌর সদরসহ অন্তত ৭ থেকে ৮ টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। তার ছিঁড়ে গেছে। বিদ্যুতের লাইনের ওপর গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল ইকবালের মোবাইলে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।

এন কে বি নয়ন/আরএইচ/জিকেএস