কক্সবাজারে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা
স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্ব অবহেলা ও সমন্বয়হীনতার কারণে কক্সবাজারে পাহাড় সংরক্ষণে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছেনা। ফলে প্রকাশ্যে নির্বিচারে পাহাড় কাটা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। অথচ কক্সবাজারে পরিবেশবান্ধব টেকসই পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় পাহাড়ের ভূমিকা অপরিসীম।
গত সোমবার কক্সবাজারের পর্যটন হোটেল শৈবালে অনুষ্ঠিত পাহাড় সংরক্ষণে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ড. খন্দকার রাশেদুল হকের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আয়োজিত এ কর্মশালায় বক্তারা আরো বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজার জেলাব্যাপী পাহাড় কাটা বেড়ে গেছে। পাহাড় সংরক্ষণে নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদফতরের অনেকটা সহযোগিতায় এসব পাহাড় কাটা চলছে। যা পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করছে।
পাহাড় সংরক্ষণে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারলে কক্সবাজারে পরিবেশ সঙ্কটের পাশাপাশি ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা করছেন বক্তারা।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ পাঠ ও সঞ্চালনা করেন কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা। বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুডি কমান্ডার মো. শাহজাহান প্রমুখ।
কর্মশালায় জানানো হয়, কক্সবাজারের পাহাড় সংরক্ষণে এ পর্যন্ত বেলা জনস্বার্থে ৫টি রিট মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলার প্রেক্ষিতে পাহাড় কাটা বন্ধ ও সংরক্ষণ করতে মহামান্য উচ্চ আদালতের আদেশ ও নির্দেশনা রয়েছে।
সকল মামলায় আদালত নির্দেশনা দিলেও কোনো কোনো আদেশ পালনে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সচেষ্ট হয়নি। ফলে পাহাড়কাটাও বন্ধ হয়নি।
সায়ীদ আলমগীর/ এমএএস/এমএস