ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পাল্টাপাল্টি মিছিল-সমাবেশে হরতাল পালিত

প্রকাশিত: ০১:১৩ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪

দেশব্যাপী পাল্টাপাল্টি মিছিল আর সমাবেশের মধ্য দিয়ে পালিত হলো বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা। সোমবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে হরতালের পক্ষে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা মিছিল-সমাবেশ করে। অন্যদিকে হরতাল প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগ ও এর সহাযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সামাবেশ করে। তবে হরতালে নোয়াখালীতে পিকেটারের ইটের আঘাতে এক স্কুল শিক্ষিকা নিহত হয়। এছাড়া দেশের আর  কোথাও বড় ধরণের কোন নাশকতার খবর পাওয়া যায় নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  সোমবার সকালে নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ রেলগেট থেকে নেতাকর্মীরা মিছিলটি নিয়ে রেল স্টেশন বাজার একতা মোড়ে আসলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এদিকে হরতালে নাটোর-ঢাকা মহাসড়কে ঝটিকা মিছিল শেষে টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করেছে জামায়াত-শিবির। জামায়াতের নাটোর শহর শাখার ব্যানারে সকালে শহরের চকরামপুর এলাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ঝটিকা মিছিল বের করে। পরে পুলিশ এসে মহাসড়ক থেকে টায়ার সরিয়ে দেয়। অপরদিকে হরতাল বিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ। দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপির নেতৃত্বে নাটোর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন।

ময়মনসিংহে নতুন বাজারে বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করে হরতালকারীরা। সকালে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দের নেতৃত্বে বিএনপি, শামীম আজাদের নেতৃত্বে যুবদল, রোকনুজ্জামান রোকন ও সোজা-উদ-দৌলার নেতৃত্বে ছাত্রদল ও রফিকুল আলম শামীমের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক দল পৃথক পৃথক মিছিল বের করে। কিন্তু পুলিশি বাধায় তা একশ গজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।

পাবনায় হরতাল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২ টায় পৃথক পৃথক কয়েকটি হরতাল বিরোধী মিছিল বের করে তারা।



জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীরা শহরে হরতাল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। পাবনা সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজ চত্বর থেকে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি খন্দকার আহমেদ শরীফ ডাবলুর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

সকাল-সন্ধ্যা হরতালে মিছিল ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে ফেনীতে। এ সময় হরতালকারীরা বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর আগে অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ৮ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।

কুমিল্লায় হরতাল প্রত্যাখ্যান করে মিছিল করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। দুপুরে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন এ মিছিল বের করে। কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদসদস্য হাজী আকম বাহাউদ্দিন বাহারের পক্ষে নগরীর কান্দির পাড় থেকে পৃথক পৃথক মিছিল করে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন।

কুড়িগ্রামে হরতালের পক্ষে মিছিল করে জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকালে শহরের দাদা মোড় থেকে হরতালকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঘোষ পাড়ায় এলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে ঘোষপাড়ায় সমাবেশ করে তারা। অন্যদিকে হরতাল বিরোধী মিছিল করেছে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে সাবেক সংসদ সদস্য মো. জাফর আলীর নেতৃত্বে হরতাল বিরোধী মিছিলটি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্তরে এক সমাবেশ করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হরতালের পক্ষে মিছিল ও পিকেটিং করে জোট কর্মীরা। সকাল থেকেই তারা জেলা শহরের পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড, কালিবাড়ি মোড়, কাউতলী, সরকারি কলেজের সামনে, মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পিকেটিং করে।

সকালে টাঙ্গাইল শহরের মিছিল করে জোট কর্মীরা। লক্ষ্মীপুরে হরতাল বিরোধী মিছিল সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।