রংপুরে এটিএম বুথে টাকার সংকট, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে নগদ টাকার চরম সংকটে পড়েছেন রংপুরের গ্রাহকরা। ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। বুথে গিয়ে টাকা না পাওয়ার সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসছে বড় ও বিস্তৃত নেটওয়ার্কের ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে।
যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনা ছিল যে, যেন ছুটির সময় প্রতিটি এটিএম বুথে পর্যাপ্ত নগদ টাকা নিশ্চিত করা হয়। তবে বাস্তবে অনেক ব্যাংক তা মানেনি। কিছু বুথে সকালে টাকা রাখা হলেও দুপুর বা বিকেলের মধ্যেই তা শেষ হয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
একটি বেসরকারি কোম্পানির রংপুরের ডিলার উদয় চন্দ্র বর্মন জানান, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) থেকে শহরের টার্মিনাল, সিও বাজার ও ধাপ সাগরপাড়া এলাকায় ঘুরেও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারেননি। অনেক জায়গায় এটিএম বুথ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন তিনি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহসান হাবিব জানান, আজ (শুক্রবার) সকাল ১১টায় মেডিকেল পূর্ব গেট এলাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথে গিয়ে তিনি টাকা তুলতে পারেননি। এসময় তার মতো আরও কয়েকজন গ্রাহক টাকা তুলতে না পেরে ফিরে গেছেন। গত তিনদিন ধরে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
নগরীর ধাপ সাগরপাড়া এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী তাহমিদুল আলম বলেন, ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিনগুলোতে (সিআরএম) কিছুটা লেনদেন হচ্ছে। এছাড়া অন্য সাধারণ বুথে লেনদেনে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে বড় বিস্তৃত ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথগুলো টাকার সংকটে পড়েছে।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জানান, রংপুর শহরে তাদের ১৭টি এটিএম বুথ রয়েছে। যেসব এলাকায় গ্রাহক সংখ্যা বেশি সেখানে পর্যাপ্ত টাকা রাখা হয়েছিল। ঈদের ছুটির কারণে কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতি শনিবার (১৪ জুন) থেকে দূর হবে।
বিজ্ঞাপন
প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের রংপুর শাখার কর্মকর্তা গোলাম মওলা বলেন, শহরে তাদের একটি বুথ রয়েছে। ঈদের ছুটিতে গ্রাহকরা যেন সমস্যায় না পড়েন সেজন্য তিনজন স্টাফ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিদিন সেখানে টাকা জমা করা হচ্ছে।
এদিকে শুধু বিভাগীয় শহরেই নয়, জেলা শহর এমনকি গ্রামাঞ্চলেও বুথে টাকার সংকটাবস্থা দেখা গেছে।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার পূবালী ব্যাংক শাখার গ্রাহক তিতাস আলম জানান, গত তিনদিন থেকে পূবালী ব্যাংকের এটিএম বুথে কোনো লেনদেন করতে পারেননি তিনি।
বিজ্ঞাপন
গত ৫ জুন থেকে ১৪ দিন ঈদুল আজহার ছুটিতে আছে ব্যাংকগুলো।
জিতু কবীর/এমএন/এএসএম
বিজ্ঞাপন