ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নরসিংদীতে পুলিশের উপর গ্রামবাসীর হামলা

প্রকাশিত: ১২:২৮ পিএম, ০৬ জুন ২০১৬

নরসিংদীর রায়পুরায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে গ্রামবাসী। এতে তিন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে আটজনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৫০টি দেশীয় অস্ত্র।

সোমবার বিকেলে রায়পুরা উপজেলা নীলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রায়পুরা উপজেলা নীলক্ষা ইউনিয়নে অওয়ামী লীগের দুইপক্ষের মধ্যে ভয়ানক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে লিটন মিয়া নামে একজন নিহত হন। এ সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ টেঁটাবিদ্ধ হয়ে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। হামলায় প্রায় ২৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী তাজুল ইসলাম ও পরাজিত প্রার্থী আব্দুল হক সরকার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পরে আশপাশের সাতটি গ্রামে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার পর পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। গ্রেফতার করা হয় সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হক সরকারকে। গ্রেফতার, হতাহত ও হামলাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জেরে সোমবার দুপুরে দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

খবর পেয়ে পুলিশ সুপার জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। পুলিশ গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ করতে ধাওয়া দেয়। এ সময় গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে দেশিয় অস্ত্র ছুড়তে থাকে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষ পুনরায় সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সংঘর্ষ থামাতে গেলে গ্রামবাসী পুলিশ লক্ষ্য করে টেঁটা ও বল্লম ছুড়তে থাকে। এ সময় তিনজন আহত হন।

পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে আটজনকে আটক করা হয়েছে। ৫০টি টেঁটা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।  

সঞ্জিত সাহা/এআরএ/এবিএস