ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

টাঙ্গাইলের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বদলি

জেলা প্রতিনিধি | টাঙ্গাইল | প্রকাশিত: ০১:২৩ পিএম, ১০ জুলাই ২০২৫

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাবেক কাউন্সিলর সালেহা বেগমের বাড়িতে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ লুটের ঘটনায় এবার জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হোসেনকে বদলি করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ হাবীব তৌহিদ ইমারের সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়, জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হোসেনকে সুনামগঞ্জ জেলায় বদলি করা হলো। বৃহস্পতিবারের (১০ জুলাই) মধ্যে অবমুক্ত করার জন্য তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় ১৩ জুলাই দুপুরের মধ্যে স্ট্যান্ড রিলিজ হবেন বলে অফিস আদেশে বলা হয়।

এর আগে ১৮ জুন প্রায় ৩ ঘণ্টার অধিক সময় অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখানো হয়। সে সময় সাড়ে ৮ লাখ টাকা লুট করা হয় বলে ভুক্তোভোগী অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে জবানবন্দির ভিডিও করে নিয়ে যান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা।

এ নিয়ে ৬ জুলাই ‘মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে অর্থ লুটের অভিযোগ, তদন্তে কমিটি’ শিরোনামে জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশ হয়।

পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সোমবার ৩ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করে। তবে ‘মূলহোতা’ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিদর্শক শামীম আল আজাদের কোনো শাস্তি না হওয়ায় সমালোচনা শুরু হয়।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ‘মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে লুটের ঘটনায় ধরাছোঁয়ার বাইরে ‘মূলহোতা’ এ শিরোনামে জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর ওইদিন বিকেলে সহকারী উপ-পরিদর্শক শামীম আল আজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

তবে অভিযানে আটজন থাকলেও চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগী নারী সাবেক কাউন্সিলর ঘটনায় জড়িত সবার শাস্তির দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বদলির আদেশ পেয়েছি। আমাকে কি কারণে বদলি করা হলো তা জানা নেই। এ ঘটনায় জড়িত সবার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আব্দুল্লাহ আল নোমান/জেডএইচ/এএসএম