রাজশাহীতে ১২৩ ‘চাঁদাবাজের’ তালিকা নিয়ে ধূম্রজাল
প্রতীকী ছবি
• তালিকায় বিএনপির ৪৪ জনের নাম রয়েছে
• আওয়ামী লীগের ২৫ জন, জামায়াতের ছয়জন
• যাদের রাজনৈতিক পরিচয় নেই, তাদের বলা হয়েছে ‘সুবিধাবাদী’
• তালিকায় সই নেই কারও
রাজশাহী মহানগর বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের পরিচয়ধারী ১২৩ জন ‘চাঁদাবাজের’ নাম সম্বলিত একটি তালিকা রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। তবে এই তালিকা কে বা কারা করেছেন তা জানে না পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে এটির সত্যতা যাচাইয়ে কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
বিএনপি, ছাত্রদল ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, ক্যাডার, সমর্থক থেকে শুরু করে ৪৪ জনের নাম-পরিচয় আছে ওই তালিকায়। একইভাবে পতিত আওয়ামী লীগের ২৫ জন ও জামায়াতের ছয়জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। বাকিগুলোর নাম-ঠিকানা দেওয়া আছে কিন্তু কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তাদের ‘সুবিধাবাদী’ বলা হয়েছে।
তবে এই তালিকা পুলিশের নাকি সরকারের অন্য কোনো সংস্থার তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফলে তালিকাটি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধূম্রজাল।
তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. গাজিউর রহমান বলেন, ‘আমরা তালিকাটা দেখেছি। কে এই তালিকা করেছে সেটি নিশ্চিত নই। এতে কারও সই নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ ছাড়াও সরকারের অন্যান্য সংস্থা তালিকা করে। তবে সেই তালিকা দেখতে পাওয়ার কথা নয়। আমরা তালিকাটি দেখছি। এটি আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে ফেরিফিকেশন করবো।’
এদিকে ছড়িয়ে পড়া তালিকাটি ‘ভুয়া’ ও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেছেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আসল চাঁদাবাজদের তালিকা করতে হবে। আমার কাছে সাদা চোখে দেখে মনে হয়েছে, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে। এখানে লুকোচুরির কোনো বিষয় আছে। তবে সব যে নেই তা বলতে পারবো না। তালিকায় দুই চারটা আসল নাম থাকতেই পারে। তবে প্রশাসন কী করছে? প্রশাসন এত নড়বড়ে হয়ে গেছে যে, সেটা এই তালিকা দেখলেই বোঝা যায়।’
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা বলেন, ‘তালিকাটি সঠিক নয়। অনেক জনের নাম দিয়েছে। আমার জানামতে, তারা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত না। গণহারে চাঁদাবাজ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে সবাইকে।’
রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি এমাজ উদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘আমি তালিকাটি দেখিনি। এটি সঠিক কি-না সেটিও বলতে পারবো না। যাদের নাম তালিকায় আছে, তাদের সংগঠন থেকে সম্পূর্ণ বয়কট করা হয়েছে। নেতাদেরও বলে দেওয়া হয়েছে, কারও কাছে যেন তারা ঘেঁষতে না পারেন।’
তিনি আরও বলেন, জামায়াতের সঙ্গে কোনো চাঁদাবাজের সম্পর্ক নেই। এই দলে কোনো চাঁদাবাজ নেই। থাকতেও পারবে না।
ভাইরাল ‘চাঁদাবাজদের’ তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন
সাখাওয়াত হোসেন/এসআর/এএসএম