ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

আলুচাষে লোকসান

সরকারি মূল্য নির্ধারণের দাবিতে নওগাঁয় সড়কে আলু ফেলে বিক্ষোভ

জেলা প্রতিনিধি | নওগাঁ | প্রকাশিত: ০২:৪৭ পিএম, ৩০ জুলাই ২০২৫

ধান-গমের মতো সরকারিভাবে আলুর ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের দাবিতে নওগাঁয় সড়কে আলু ফেলে বিক্ষোভ করেছেন জেলার আলুচাষিরা।

বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে দাঁড়িয়ে ‘নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার কৃষক পরিবার এবং আলু ব্যবসায়ী পরিবার’র ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এ বিক্ষোভ চলে।

কৃষকরা বলেন, বাজারে আলুর বিক্রয় মূল্য উৎপাদন খরচের অর্ধেকেরও কম। হিমাগারে রাখা আলু বিক্রি করতে গিয়ে প্রতি কেজিতে অন্তত ১৭-১৮ টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে চাষিদের। বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ করে আলু চাষ করায় বাজারে দাম না পেয়ে সেই টাকা পরিশোধ করতে তারা পারছেন না। এমন অবস্থায় ন্যায্যমূল্য নির্ধারণে সরকারের হস্তক্ষেপ চান তারা।

সরকারি মূল্য নির্ধারণের দাবিতে নওগাঁয় সড়কে আলু ফেলে বিক্ষোভ

নওগাঁ সদর উপজেলার চকবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, সার-ফসফেটের ঊর্ধ্বমুখী দামের তুলনায় এ বছর আলুর দাম খুবই কম। ধান-চাল ও গমের সরকারি মূল্য নির্ধারণ করতে পারলে আলুর কেন হবে না? আলু চাষিদের ক্ষেত্রে এই বৈষম্য দূর করতে হবে।

সদর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের আরেক কৃষক বুলবুল ইসলাম বলেন, বাজারে ধানের দাম বেশি চালের দামও বেশি। কিন্তু আলুর কোনো দাম নাই। হিমাগারেও খরচ বেশি নেওয়া হচ্ছে। এক মণ আলু চাষ করতেই ১২০০-১৩০০ টাকা করে খরচ হয়েছে। বাজারে এখন আলু বিক্রি করতে হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা মণ। তাহলে আমরা যাবো কোথায়? সরকার যদি আমাদের জন্য কোনো উদ্যোগ না নেয় তাহলে আমরা শেষ হয়ে যাবো।

সরকারি মূল্য নির্ধারণের দাবিতে নওগাঁয় সড়কে আলু ফেলে বিক্ষোভ

শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার আরেক আলুচাষ সাইফুল আলম বলেন, গরু বিক্রি করে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে লাভের আশায় আলুচাষ করেছিলাম। কিন্তু বাজারে এখন আলু বিক্রি হচ্ছে না। হিমাগারে প্রতি কেজি আলুতে আগের থেকে ৪ টাকা করে বেশি দিতে হচ্ছে। এক কেজি আলু উৎপাদনসহ হিমাগারে রাখতে ২৫-২৬ টাকা খরচ হচ্ছে। বাজারে পাইকারি দরে ১১-১২ টাকার বেশি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে না। ঋণের টাকা পরিশোধ করা তো দূরের কথা খরচের টাকা উঠানো নিয়েই এখন চিন্তার মধ্যে আছি।

নওগাঁ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বিপণন কর্মকর্তা সোহাগ সরকার বলেন, এ বছর ফলন ভালো হওয়ায় আলুর উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। বছরের এই সময়টাতে অন্যান্য সবজি বাজারে বেশি থাকায় মানুষ আলু কম কিনে। সরকারের পক্ষ থেকে ওএমএস অথবা টিসিবির মাধ্যমে আলু বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

আরমান হোসেন রুমন/এমএন/জেআইএম