ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

তিস্তার পানি কমছে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে প্লাবিত মানুষ

জেলা প্রতিনিধি | লালমনিরহাট | প্রকাশিত: ০৯:১৫ এএম, ৩১ জুলাই ২০২৫

বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৫৮ মিটার। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে পানিবন্দি মানুষের পরিস্থিতি।

এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ডুবে গেছে চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট, আমন ধান ও শাকসবজির মাঠ। সড়কপথের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নৌকা ও ভেলাই এখন একমাত্র চলাচলের মাধ্যম। পুকুর ডুবে যাওয়ায় ভেসে গেছে চাষিদের মাছও।

বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে পানির সমতল বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯৮ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হয়েছে।

তিস্তার পানি কমছে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে প্লাবিত মানুষ

জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। এদের মধ্যে হলো, পাটগ্রামের দহগ্রাম, গড্ডিমারী, দোআনি, ছয়আনি, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী ও ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জের ভোটমারি, শৈইলমারী ও নোহালী; আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া ও পলাশী; সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ি ও গোকুণ্ডা ইউনিয়ন।

খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের আব্দুল হাকিম বলেন, ‘৩৬ ঘণ্টা পানিবন্দি অবস্থায় ছিল পুরো পরিবার। শুকনা খাবার খেয়ে পার করতে হয়েছে। স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এতে করে রোগ জীবাণুর যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

তিস্তার পানি কমছে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে প্লাবিত মানুষ

বাগডোরা এলাকার রহিমা বেগম বলেন, ‘এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছি তবে পানি অনেকটা কমে গেছে। এ অবস্থায় আছি কেউ খোঁজ নিল না। তার ওপর আবার এনজিওর নেওয়ার জন্য আসছে। অনেকটা ভোগান্তি মনে হচ্ছে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুণিল কুমার জাগো নিউজকে বলেন, ‘তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় পানি এখন নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। লোকালয়ের পানি আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। পানি কমে গেলে এক ধরনের ভাঙন দেখা দেয়। তবে এখন পর্যন্ত সে রকম কোনো তথ্য আমাদের কাছে আসেনি।

মহসীন ইসলাম শাওন/আরএইচ/এএসএম