চাঁদা চেয়ে চিঠি
গ্রেফতার দুজনের আদালতে স্বীকারোক্তি, বিএনপির ৩ নেতা কারাগারে
টাঙ্গাইলে মাছ ব্যবসায়ীকে ‘কিলার গ্যাংয়ের’ নামে চিঠি দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেফতার দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার (২ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দ্র তাদের জবানবন্দি লিখেন।
এছাড়া গ্রেফতার অপর ৩ বিএনপির নেতাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।
জবানবন্দি দানকারীরা হলেন- আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাব্বির হোসেন। গ্রেফতার অন্যরা হলেন, টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের, শহর বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম রাব্বানী, শহর বিএনপির সদস্য ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম।

এর আগে পুলিশ শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠায়। গত শুক্রবার রাত ও শনিবার ভোরে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার সন্তোষ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন:
- টাঙ্গাইলে মাছ ব্যবসায়ীর কাছে টাকা চেয়ে ‘কিলার গ্যাংয়ের’ চিঠি
- চাঁদা চেয়ে চিঠি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩ বিএনপি নেতা বহিষ্কার
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ মিজানুর রহমান বলেন, মামলা পর পুলিশ প্রথমে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করে। এসময় তার বাড়িতে তল্লাশিকালে তার হেফাজতে থাকা একটি ল্যাপটপসহ প্রিন্টার জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ল্যাপটপে চাঁদা দেওয়ার চিঠির প্রমাণ পাওয়া যায়। পরর্বতীতে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দুপুরে তাদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়।
এদিকে এ ঘটনায় গ্রেফতার বিএনপির তিন নেতাকে সদস্য পদসহ বহিষ্কার করেছে জেলা বিএনপি। শনিবার সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সন্তোষ মাছ ব্যবসায়ী মো. আজাহারুল ইসলামের কর্মচারীর হাতে অচেনা একজন লোক একটি চিঠি দেয়। ওই কর্মচারী সেই চিঠি শুক্রবার সকালে আজাহারুল ইসলামকে দেন। চিঠিতে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। চিঠি পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে কাউকে বললে বা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলে তাকে হত্যা করা হবে বলে চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী।
আব্দুল্লাহ আল নোমান/এমএন/এমএস