নোয়াখালী
জন্মনিবন্ধনে ঘুস আদায়, ইউপি চেয়ারম্যানের নামে দুদকের মামলা
নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলুর (৫৫) বিরুদ্ধে জন্মনিবন্ধনে ঘুস আদায়ের দায়ে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবর্ণা আকতারকেও (৩৯) আসামি করা হয়েছে।
গোলাম হোসেন বাবলু অশ্বদিয়া ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মৃধারহাট এলাকার গোলাম হালিমের ছেলে। অন্যদিকে সুবর্ণা আকতার কবিরহাট উপজেলার আবদুল্যাহ মিয়ার হাট এলাকার পূর্ব রাজুরগাঁও গ্রামের মো. সাইফুদ্দিনের স্ত্রী।
দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবর্ণা আকতারের বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধন, প্রত্যয়নপত্র, ওয়ারিশ সনদ, মৃত্যু সনদ ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদানে ঘুস গ্রহণের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের টিম ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান চালিয়ে জনসাধারণের ২৯১টি বিভিন্ন আবেদনের সঙ্গে পিন মারা ঘুষের ৭৩ হাজার ৮৫০ টাকা উদ্ধার করে।’
মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘অভিযানের সময় চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবর্ণা আকতার অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের দুজনের মোবাইলের আলাদা ওটিপি পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে জনগণের এ সেবা প্রদানের সুযোগে তারা অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। তাই তাদের দুজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু টাকা নেওয়ার বিষয়টি জাগো নিউজের কাছে স্বীকার করলেও তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা পেতে সরকারিখাতে কিছু টাকা জমা দিতে হয়। এছাড়া এ কাজগুলো যিনি করেন পরিষদের আউট সোর্সিং কর্মকর্তা বা নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর তার নির্দিষ্ট কোনো বেতন নাই। তাই পারিশ্রমিক হিসেবে প্রতি আবেদনে তিনি ২০-৩০ টাকা করে নেন। এখানে আমাদের কোনো অনিয়ম নাই।
ইকবাল হোসেন মজনু/আরএইচ/এমএস