জেলের জালে ধরা পড়লো বিরল প্রজাতির ‘অ্যাঞ্জেল ফিশ’
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির ‘অ্যাঞ্জেল ফিশ’
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ‘অ্যাঞ্জেল ফিশ’ (পোমাক্যান্থাস ইম্পেরেটর) নামের একটি বিরল প্রজাতির মাছ।
পাঁচ দিন আগে গভীর সমুদ্রে স্থানীয় আনোয়ার মাঝির জালে মাছটি ধরা পড়ে। রোববার (১০ আগস্ট) সকালে মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এটিকে অনেকের কাছে ‘অ্যাকুরিয়াম ফিশ’ নামেও পরিচিত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই প্রজাতিটি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের স্থানীয়, লোহিত সাগর এবং পূর্ব আফ্রিকা থেকে শুরু করে হাওয়াই এবং অস্ট্রাল দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত। এরা সাধারণত প্রবাল প্রাচীর বা ৫-৬০ মিটার গভীরতায় পাথুরে আবাসস্থলে পাওয়া যায়। রঙিন ও দৃষ্টিনন্দন সামুদ্রিক মাছ এটি। যা মূলত উষ্ণমণ্ডলীয় প্রবাল প্রাচীরের পরিবেশে বাস করে। মাছটির আকার ১৬ ইঞ্চির মতো। গায়ের গাঢ় নীল পটভূমিতে হলুদ অনুভূমিক দাগ, মুখে নীল-কালো ‘মাস্ক’ প্যাটার্ন রয়েছে।
জেলে আনোয়ারের ভাষ্য, এক সপ্তাহ আগে ‘এফবি জারিফ তারিফ’ নামের একটি ফিশিং ট্রলারে অন্যান্য মাছের সঙ্গে বিরল প্রজাতির মাছটি ধরা পড়ে। ছোট হলেও মাছটি দেখতে সুন্দর।
মাছটির ওজন ৪০০ গ্রাম। সুস্বাদু সামুদ্রিক এই মাছটি অনেকেই খাওয়ার জন্য নিতে চাইলেও আনোয়ার মাঝি বিক্রি না করে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এমন মাছ তিনি আর কখনো পাননি। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাছটির স্বাদ নিতে চান তিনি।

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী রহিম মাঝি বলেন, ‘এমন মাছ আমার জীবনে দেখিনি। মাছটি দেখতে অবিকল অ্যাকুরিয়ামে থাকা মাছের মতো। বাসার সবাইকে দেখানোর জন্য মাছটির কয়েকটি ছবি তুলে নিয়েছি।’
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, মাছটির বাংলা নাম ‘অ্যাঞ্জেল ফিশ’। এটি বিরল প্রজাতির মাছ। মাছটি উপকূলে সচরাচর দেখা যায় না। গভীর সমুদ্রে বাস করে।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্রোতের ধরন বদলের কারণে কিছু সামুদ্রিক প্রজাতি তাদের আবাসক্ষেত্র প্রসারিত করছে। এ কারণে হয়তো এই প্রজাতিটি বাংলাদেশের জেলেদের জালে ধরা পড়ছে।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসআর/জেআইএম