ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নাটোরে জনসেবা হাসপাতাল মালিকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি | নাটোর | প্রকাশিত: ০৬:২৭ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নাটোর শহরে আমিরুল ইসলাম নামের এক চিকিৎসকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে নাটোর শহরের মাদরাসা মোড়ের বেসরকারি জনসেবা হাসপাতালে তার কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ডা. আমিরুল ইসলাম বেসরকারি ওই হাসপাতালের মালিক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) নাটোর জেলা শাখার আহ্বায়ক।

জনসেবা হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেলা আড়াইটায় ডা. আমিরুল ইসলাম নিজ কক্ষ থেকে বের না হলে হাসপাতালের স্টাফরা ডাকাডাকি শুরু করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে তারা ভেতরে ঢোকেন। এসময় আমিনুল ইসলামের গলাকাটা মরদেহ দেখা যায়।

হাসপাতালের স্টাফ আলামিন জানান, ডা. আমিরুল ইসলাম অনেক রাত পর্যন্ত অপারেশন শেষে হাসপাতালে তার জন্য সংরক্ষিত কক্ষে ঘুমাতে যান। তিনি সাধারণত দুপুরের দিকে ঘুম থেকে ওঠেন। কিন্তু সোমবার বেশি দেরি হওয়ায় হাসপাতালে স্টাফরা ডাকাডাকি করেন। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান তারা।

ডা. আমিরুল ইসলামের ভাই ও হাসপাতালের ব্যস্থপনার দায়িত্বে থাকা রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, ‘আমার ভাই হত্যাকাণ্ডের শিকার। এ হত্যাকাণ্ডে যেই জড়িত থাকুক তার যেন দৃষ্টান্তমূলক সাজা হয়।’

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, এই মৃত্যু দুঃখজনক। অবিলম্বে দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

এসময় তিনি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিএমএ নাটোর জেলা শাখার সদস্যসচিব ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে অবিলম্বে দায়ীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবর রহমান জানান, প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ ও সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, ডা. আমিরুল ইসলামের গলাকাটার পাশাপাশি তার যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার কক্ষে ও ব্যক্তিগত ব্যাগ তল্লাশি করে যৌন উত্তেজক বেশ কিছু ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, দরজাটি স্বয়ংক্রিয় তালাবদ্ধ হয়। এ থেকে বোঝা যায়, পরিচিত কেউ কক্ষে ঢুকে হত্যার পরে দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহসহ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই হত্যাকারীকে ধরতে পারবো।

রেজাউল করিম রেজা/এমএন/এএসএম