ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মানিকগঞ্জ

পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা, বিএনপির ৯ নেতাকর্মীর নামে মামলা

জেলা প্রতিনিধি | মানিকগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৪:৩৮ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

থানার ভিতর বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার ডিউটি অফিসার ও নারী কনস্টেবলের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাগবিতণ্ডার ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ঘিওর থানার এএসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় আরও ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কোহিনুর বলেন, থানা প্রাঙ্গণ প্রশাসনিক এলাকা। এখানে শত শত মোটরসাইকেল ঢোকানো নিয়মবহির্ভূত। পুলিশ সদস্যকে হেনস্তা করার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আসামিরা হলেন, খন্দকার বিল্টু, জি এম সেলিম, উজ্জ্বল, মীর কাউসার, হারেজ, রফিকুল ইসলাম পিন্টু, রাজু, সামিউল আলম বিল্টু, শহিদুল ইসলাম। তারা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আকবর হোসেন বাবলুর অনুসারী এবং ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের পদধারী নেতা ও সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে ।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খন্দকার আকবর হোসেন বাবলুর অনুসারী মীর কাউসার (ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক) ও মো. সেলিম মিয়াসহ (রাজধানীর তেজগাঁও থানা কৃষক দলের আহ্বায়ক) ২০-৩০ জন নেতাকর্মী বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। ভিড়ের কারণে গাড়ি পার্কিংয়ে সমস্যা হলে থানার পাশে গাড়ি রাখার চেষ্টা করেন তারা।

তখন থানায় দায়িত্বে থাকা এক নারী পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) থানার ভেতরে মোটরসাইকেল রাখতে নিষেধ করলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর ওই নারী কনস্টেবল থানায় ডিউটি অফিসার এএসআই রফিককে বিষয়টি জানান। ডিউটি অফিসার বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন এবং থানার ভেতরে মোটরসাইকেল না রাখতে অনুরোধ করেন।

জানতে চাইলে বাদী এএসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি দায়িত্ব পালন করছিলাম। হঠাৎ করে বহু মোটরসাইকেল নিয়ে থানার ভেতরে প্রবেশ করা হয়। আমি নিষেধ করলে তারা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং আমার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু বলেন, আমরা পূজার মেলায় যোগ দিতে গিয়েছিলাম। আমি থানার ভেতরে ছিলাম না, আমার গাড়ি বাইরে ছিল। পুলিশের কাছে আমার নেতাকর্মীরা হেনস্তার শিকার হয়েছে।

ঘিওর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাউসার বলেন, এসআই মাসুদ রানা অনুমতি দেওয়ার পর গাড়ি থানার ভেতরে ঢোকাতে গেলে এএসআই রফিকুল ইসলাম গেট বন্ধ করে দেন এবং আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে ওসিকে জানাতে গেলেও তিনি ব্যস্ত থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে এসআই মাসুদ রানা বলেন, মেলার ভেতরে গাড়ি ও মোটরসাইকেল প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরে সেলিম মিয়াকে গাড়িটি পাবলিক লাইব্রেরির সামনে রাখতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা হয়তো থানার ভেতরে রাখতে গিয়েছিলেন। তখন এএসআই রফিকুল নিষেধ করায় সামান্য বাগবিতণ্ডা হয়।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) সাদিয়া সাবরিনা চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মো. সজল আলী/আরএইচ/জেআইএম