ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

দা‌রিদ্রমুক্ত হতে গিয়ে নিঃস্ব তারা

জেলা প্রতিনিধি | কুড়িগ্রাম | প্রকাশিত: ০৭:৪৭ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সমিতিতে টাকা রেখে প্রতারণার শিকার হাজারেরও বেশি গ্রাহক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। শনিবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ নতুন বাজারে এ বিক্ষোভ হয়। স্থানীয় বেসরকারি দারিদ্র্যমুক্ত বহুমুখী সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে এ প্রতারণার অভিযোগ করেন তারা।

জানা গেছে, উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ নতুন বাজার এলাকায় দারিদ্র্যমুক্ত বহুমুখী সমবায় সমিতির নামে একটি সংগঠন ২০০৭ সালের জুন মাসে আত্মপ্রকাশ ক‌রে। পরবর্তীতে ওই বছরেই উপজেলা সমবায় অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশন পায় সমিতিটি। সমিতির নাম করে একটি চক্র প্রায় তিন হাজার সদস্য নিয়ে লোক দেখানো ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম শুরু করে। সমিতিতে টাকা রাখলে উচ্চ হারে লভ্যাংশ প্রদানের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে তারা ৩-৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে বন্ধ করে দেয় কার্যক্রম।

অভিযোগ রয়েছে, সদস্যরা নিজেদের গচ্ছিত অর্থ নিতে গেলে বিভিন্নভাবে টালবাহানা করছে সমিতির কর্তৃপক্ষ। নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ ফেরত পেতে শনিবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন প্রতারিত হাজারেরও বেশি ভুক্তভোগী।

দা‌রিদ্রমুক্ত হ‌তে গি‌য়ে নিঃস্ব তারা

এসময় ভুক্তভোগী ছকিনা বেগম বলেন, ‘আমি ভিক্ষা করে ও মাটি কাটার কাজ করে গচ্ছিত সাড়ে ৬ লাখ টাকা ওই সমিতিতে রেখেছিলাম। এখন আমি নিঃস্ব, টাকা ফেরত দিচ্ছে না।’

বিক্ষোভ অংশ নেওয়া ভুক্তভোগীরা জানান, খড়খড়িয়া এলাকার রিপন মিয়ার দুই লাখ ৩০ হাজার, থানাহাট ইউনিয়নের সবুজপাড়া এলাকার জয়ন্ত রায় জয়ন এক লাখ ২২ হাজার টাকা, সরকারপাড়া এলাকার এরশাদুল হক ৮০ হাজার টাকা, জোড়গাছ সাত ঘড়িপাড়া এলাকার সুফিয়া দেওয়া এক লাখ ২৮ হাজার টাকা, একই এলাকার জেলেখা বেওয়া এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা, কসভান বেওয়া ৬০ হাজার টাকা, মিম আক্তার ৩৬হাজার ৫০০ টাকাসহ প্রায় তিন হাজার গ্রাহকের নিকট থেকে তিন থেকে চার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সমিতির সম্পাদক নুর আলম জানান, সমিতির পরিচালক আনিসুর রহমান আনিস ও মিল্টন অর্থ উত্তোলনকারী ১৭ জন কর্মচারীর কাগজপত্র তাদের জিম্মায় নেওয়ায় আমরা হিসাব দিতে পারছি না। তবে এক সপ্তাহ আগে সাড়ে ৩৩ শতাংশ জমি ৯৫ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য সাতটি দলিল মূলে দেওয়া হয়েছে। বাকি গ্রাহকদের পরিশোধ করার মতো অর্থ সমিতিতে নেই।

রোকনুজ্জামান মানু/এমএন/জেআইএম