ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

আমরা আর বিভেদের রাজনীতি চাই না: মির্জা ফখরুল

জেলা প্রতিনিধি | ঠাকুরগাঁও | প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা আর বিভেদের রাজনীতি চাই না। হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানের মধ্যে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করতে চাই না। হিংসার রাজনীকে প্রশ্রয় দিতে চাই না, চাই একটা শান্তির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেননি। ছেলেরা যে কারণে প্রাণ দিয়েছেন, তা ছিল একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটা আপনারা সকলে বুঝেন। আপনারা যা বলবেন সেটাই ৷ অর্থাৎ আপনারা ভোট দিবেন আপনার পছন্দের প্রার্থীকে। প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্টে যাবেন, সেখানে গিয়ে জনগণের কথা বলবে, আপনাদের কথা বলবে। এটাকে আমরা বলি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা।

বিএনপি মহাসচিব জানান, এবারে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কিছু পরিবর্তন আসছে। নতুন ব্যবস্থায় দুইটি পার্লামেন্ট থাকবে, একটি নিম্নকক্ষ এবং একটি উচ্চকক্ষ। নিম্নকক্ষে প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে যাবেন। আর উচ্চকক্ষে পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্বকারী দলের প্রতিনিধি সংখ্যা অনুযায়ী সদস্য যাবে। এছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়, আলেম সমাজ এবং বিদ্বান-পণ্ডিতদের মতো বিভিন্ন সেক্টরের মানুষ সেখানে মনোনীত হবেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এমন একটি পার্লামেন্ট হবে যা সত্যিকার অর্থে জনগণের কথা বলবে এবং কোনো এক দলের কর্তৃত্ব থাকবে না। তিনি মনে করেন, এর মাধ্যমে ‌‌‌‘পনেরো বছর দুঃশাসন, ফ্যাসিজম হয়েছে সে জিনিসটা থেকে আমরা মুক্ত হব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৫ আগস্টে যে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান দেশ নতুন করে সাজানোর সুযোগ হয়েছে। আমরা নতুন করে দেশটা সাজাতে চাই। অনেক মত থাকবে, অনেক মত একমত হবে না। মতগুলোকে পার্লামেন্টে আনতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে মানুষ একটা সিদ্ধান্ত পাবে। দেশটা সেভাবে চলবে।

তিনি বলেন, আমরা বারবার বলছি, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। এখানে সকল ধর্মের মানুষ থাকবে। এখানে যারা হিন্দু আছেন তারা হিন্দু ধর্ম পালন করবে, তাদের মন্দির সুরক্ষিত থাকতে হবে। যারা ইসলাম ধর্ম পালন করে তাদের মসজিদ সুরক্ষিত থাকতে হবে। মানুষের কথা বলার সুযোগ সুরক্ষিত থাকতে হবে। এই যে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই মিলে থাকাটাই আমাদের বাংলাদেশ।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমাদের নেতা শহিদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। তিনি ৯ মাস দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। আমরা যুদ্ধ করেছি। আমাদের সবার চাওয়া ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতার যে অস্তিত্ব সেটা ভুলে যাওয়ার কোনো কারণ নাই। আমরা স্বাধীনতা ভুলে যেতে পারি না। ঠিক একইভাবে চব্বিশের ৫ আগস্ট আমরা ভুলবো না। কারণ এই দিন আমাদের ছেলেরা রক্ত দিয়েছে। আমাদের ওপর যে একটা দানব এসে বসেছিল সেটা সরিয়ে দিয়েছে।

তানভীর হাসান তানু/কেএইচকে/জিকেএস