ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

আলো ঝলমলে ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জে এখন ভৌতিক পরিবেশ

এন কে বি নয়ন | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৬:১৩ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের প্রবেশদ্বার ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ। গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় সন্ধ্যা নামলেই নেমে আসে অন্ধকার। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইন্টারচেঞ্জের শতাধিক সড়কবাতি বন্ধ হয়ে আছে। ফলে রাতের আঁধারে পথচারী, যানবাহনচালক থেকে শুরু করে স্থানীয়দের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইন্টারচেঞ্জ এলাকায় বৈদ্যুতিক তার ও কন্ট্রোল বোর্ডের কিছু অংশ চুরি হয়েছে। পাশাপাশি কন্ট্রোল প্যানেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পুড়ে যাওয়ায় নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও বাতিগুলো বন্ধ। অন্ধকারের কারণে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে থাকা ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ এখন রাতে একেবারে জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে।

আলো ঝলমলে ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জে এখন ভৌতিক পরিবেশ

স্থানীয় বাসিন্দা সোহাগ মাতুব্বর বলেন, ‌‘আগে এখানে সন্ধ্যার পর আলোয় ঝলমল করতো। এখন সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকার নেমে আসে। তখন জায়গাটিতে ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আমরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাই।’

ওই এলাকার অটোভ্যানচালক আকিজ শেখ জাগো নিউজকে বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে রাতের বেলায় ভাঙ্গা গোলচত্বর থেকে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাতি জ্বলে না। ফলে দুর্ঘটনা ও ছিনতাইয়ের ভয়ে এখানে আর আগের মতো মানুষের আনাগোনা দেখা যায় না। ভয় নিয়ে চলতে হয়।’

ঘুরতে আসা রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জাগো নিউজকে বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, দ্রুত মেরামতের মাধ্যমে আবারও আগের মতো আলো ঝলমলে রূপে ফিরবে এই আধুনিক সড়ক সংযোগের মুখটি।’

আলো ঝলমলে ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জে এখন ভৌতিক পরিবেশ

কথা হয় ইন্টারচেঞ্জ বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনের নৈশপ্রহরী সিরাজ খানের সঙ্গে। তিনি জানান, মাসখানেক আগে কন্ট্রোল সিস্টেমের একটি অংশ নষ্ট হয়ে গেছে। আপাতত এখন জেনারেটর চালিয়ে প্রতি রাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা করে কিছু বাতি জ্বালানো হয়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ভাঙ্গা আবাসিক প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, ‘কন্ট্রোল বোর্ডের তার পুড়ে যাওয়া ও কিছু সরঞ্জাম চুরি হওয়ায় ইন্টারচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ নিতে পারছে না। সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় নেই।’

আলো ঝলমলে ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জে এখন ভৌতিক পরিবেশ

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এখানে আলো জ্বলে না। সড়কবাতি না থাকায় অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে। এরইমধ্যে কয়েকটি মামলায় ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ কারণে রাতের টহল আরও বাড়াতে হয়েছে।’

সড়ক ও জনপথ বিভাগের শ্রীনগর (মুন্সিগঞ্জ) উপবিভাগীয় কার্যালয়ের প্রকৌশলী এস এম হানিফ বলেন, চুরি ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পুরো সড়কবাতি ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে মেরামতের কাজ চলছে। কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করি কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারবো।

এসআর/এমএস