খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজন গ্রেফতার
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ত্রিপুরা কিশোরীকে (১৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবক ও এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন আরও একজন। বুধবার (২২ অক্টোবর) স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
এর আগে সোমবার (২০ অক্টোবর) শ্যামা পূজা দেখতে গেলে রাত ১১টার দিকে মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নের একটি বাগানে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বোন বাদী হয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটকরা হলেন- বেলছড়ি ইউনিয়নের চোংরাকাপা গ্রামের অরুন বিকাশ রোয়াজার ছেলে রনি বিকাশ ত্রিপুরা (৩২) ও গোমতী ইউনিয়নের বান্দরছড়া গ্রামের অনিরঞ্জন ত্রিপুরার ছেলে ডেটল বাবু ত্রিপুরা (১৮) ও রিমন বিকাশ ত্রিপুরা (২২)
পুলিশ, স্থানীয়, ভুক্তভোগীর পরিবার ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ির থেকে মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নে খালাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী। ওইদিন রাতে স্বজনদের সঙ্গে মন্দিরে শ্যামা পূজা দেখতে যায়। এসময় অভিযুক্তরা তার পিছু নেয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলে মন্দির হতে কিছুটা দূরে একটি বাগানে নিয়ে যায়। জনশূন্য বাগানে রনি বিকাশ ত্রিপুরা ও সুমন বিকাশ ত্রিপুরা ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। অপর আসামিররাও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জঙ্গলে ফেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
এসময় ওই কিশোরীর খালা ও খালাতো বোন জামাই তাকে খুঁজে না পেয়ে মন্দির কমিটির সহায়তায় একদিন পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দিনগত রাত ১টার দিকে রামগড় সীমান্ত সড়কের ধলীয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে।
ঘটনা জানাজানির পর সামাজিক বিচারের জন্য ডাকলে অভিযুক্ত রনি বিকাশ ত্রিপুরা ও ডেটল বাবু ত্রিপুরা উপস্থিত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশকে খবর দিলে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ ওই দুইজনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে রিমন বিকাশ ত্রিপুরাকে আটকে করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তফিকুল ইসলাম তৌফিক বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বোন বাদী হয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় চার জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এরই মধ্যে স্থানীয়দের সহায়তা তিন জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি একজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এমএন/জিকেএস