নরসিংদীতে কলেজ উপাধ্যক্ষের হাতে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত

নরসিংদীর মনোহরদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষের হাতে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত হয়েছেন। এসময় অধ্যক্ষের কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুরে অধ্যক্ষের কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, মনোহরদী কলেজের একাদশ শ্রেণি, ডিগ্রি ও তিনটি বিষয়ে সম্মান কোর্স চালু রয়েছে। সম্মানের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের শিক্ষাদানের পাশাপাশি কোচিং করানো হয়। কোচিং থেকে প্রাপ্ত আয়ের টাকা কলেজ প্রশাসন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বন্টন করে নেয়।

কিন্তু সম্প্রতি কোচিং ফি বন্টন নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম ফারুকের সঙ্গে উপাধ্যক্ষ আরতী রাণী রায়ের বিরোধ হয়। আর এরই জের ধরে উপাধ্যক্ষের সঙ্গে বিভাগীয় প্রধানদের কথা কাটাকাটি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে অধ্যক্ষের কক্ষে কোচিং ফিয়ের টাকা বন্টন নিয়ে বাগবিতাণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন উপাধ্যক্ষ আরতী রাণী রায়।

উপাধ্যক্ষ আরতী রাণী রায় বলেন, আমি গত তিন বছর যাবৎ কলেজে উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছি। আমি কলেজে যোগদানের পর থেকেই অধ্যক্ষ বিভাগের প্রধানের সঙ্গে মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সর্বশেষ সম্মানের কোচিং ফি বন্টন নিয়ে আমার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে। আমি এর প্রতিবাদ করলে তিনি আমার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে। নারী হিসেবে আমি নিজেকে রক্ষায় প্রতিরোধ করেছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ গোলাম ফারুক সাংবাদিকদের জানান, কলেজের সম্মানের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ের টাকা আমার চেয়ে ৩৫০ টাকা কম দেয়ায় উপাধ্যক্ষ ক্ষিপ্ত হন। তিনি ওই সম্মানিকে ভিক্ষা হিসেবে আখ্যায়িত করে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন। এতে আমি তাকে শালীনতা বজায় রাখার জন্য বলা হলে তিনি আমাকে লাঞ্ছিত করেন।

সঞ্জিত সাহা/এআরএ/এমএস