ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রংপুরে সবজির দাম কমলেও বেড়েছে শাকের

নিজস্ব প্রতিবেদক | রংপুর | প্রকাশিত: ১২:২৪ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে বেশকিছু সবজির দাম। সেইসঙ্গে দাম কমেছে কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ ও ডিমের। তবে দাম বেড়েছে শাকের। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ, মাংস, চাল, ডাল আটা ও ময়দাসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজের দামও কমেছে। গত সপ্তাহে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও আজ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে টমেটোর দাম ১৪০-১৬০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১১০-১৩০ টাকা, গাজর গত সপ্তাহের মতোই ১৮০-২০০ টাকা, কাঁকরোল ৭০-৮০ টাকা, ঝিংগা ৫৫-৬০ টাকা, মুলার দাম কমে ৩০-৩৫ টাকা, ফুলকপি ১২০-১৩০ টাকা থেকে কমে ৬০-৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৬০-৭০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি ২৫-৩০ টাকা থেকে কমে ২০-২৫ টাকা, দুদকুষি ৪০-৫০ টাকা থেকে কমে ৩৫-৪০ টাকা, চিকন বেগুন ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, গোল বেগুন অপরিবর্তিত ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রংপুরে সবজির দাম কমলেও বেড়েছে শাকের

এছাড়া ঢেড়শ ৫০-৬০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৩৫-৪০ টাকা, বরবটি আগের মতো ৭০-৮০ টাকা, শিম ১৮০-২০০ টাকা থেকে কমে ৭০-৮০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, লাউয়ের দাম কমে (আকারভেদে) ৩০-৪০ টাকা, কচুরলতি আগের মতো ৫০-৬০ টাকা, কচুর ২৫-৩০ টাকা, লেবুর হালি ১৫-২০ টাকা, ধনেপাতা ১৫০-২০০ টাকা থেকে কমে ৮০-১০০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া গত সপ্তাহের মতোই ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে, দেশি আদা গত সপ্তাহের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৪০-১৬০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৮০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা এবং প্রকারভেদে শাকের আঁটি ১০-২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫ থেকে ৩০ টাকা।

বাজারে পালং, লাউ, লাল ও সবুজ শাক ২৫-৩০ টাকা এবং সরিষা, কলমি ও মুলাসহ অন্য শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

টার্মিনাল বাজারের সবজি বিক্রেতা নুর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় শীতকালীন আগাম সবজির দাম কমেছে। এছাড়া পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দামও কমেছে।

মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা হেলাল মিয়া বলেন, বাজারে নতুন শাক উঠতে শুরু করেছে। এ কারণে দাম একটু বাড়তি। তবে আমদানি বাড়লে দাম কমে আসবে।

রংপুরে সবজির দাম কমলেও বেড়েছে শাকের

এদিকে দাম কমেছে পোলট্রি মুরগির ডিমের। দোকান ভেদে এক হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫-৪৮ টাকা।

বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৫-২০ টাকা, শিল আলু ৪০-৪৫ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা আলু ২৫-৩০ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড জাতের মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৮৫-১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) ১৫০-১৬০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনি ১১০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪৫-৫০ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৭০-৭৫ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮২-৮৫ এবং নাজিরশাইল ৮৫-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/এমএন/জেআইএম