ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বৃষ্টি-বাতাসে নুয়ে পড়েছে পাকা ধান, দুশ্চিন্তায় কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক | বগুড়া | প্রকাশিত: ০৯:১০ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০২৫

টানা বৃষ্টিতে ও ঝড়ো বাতাসে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পাকা ধান নুয়ে পড়েছে। এছাড়া ক্ষতির মুখে পড়েছে শীতকালীন আগাম শাক-সবজিসহ বিভিন্ন রবিশস্য।

কৃষকরা বলছেন, পাকা আমন ধান ঘরে তোলার এখনই মোক্ষম সময়। এই মুহূর্তে বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগামী দুইদিন রোদ না হলে এসব ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলি মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে অনেক স্থানে পাকা ও আধাপাকা ধান নুয়ে পড়েছে। এতে পাকা ধান নিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। বিশেষ করে জমিতে কেটে রাখা ধান নিয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন তারা।

এছাড়া অতি বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেতে জমেছে পানি। ফসল বাঁচাতে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন কৃষক। আগাম জাতের শীতকালীন ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মরিচ, বেগুন, মুলাসহ বিভিন্ন শাক-সবজি মাটিতে নুয়ে পড়েছে। সবজি গাছের গোড়ায় পচন ধরেছে। যেসব খেতের সবজি এখনো ভালো রয়েছে, তা রক্ষায় প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন কৃষকেরা।

সদরের চালাপাড়া গ্রামের কৃষক বেলাল হোসেন জানান, বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে ইতোমধ্যে চরম ক্ষতি হয়েছে। এক একর জমিতে আগে যেখানে প্রায় ৪০ মণ ধান পাওয়া যেত, এখন সেখানে ৩০ মণ হতে পারে।

পাচথুপি গ্রামের কৃষক আলী হোসেন বলেন, আকাশ পরিষ্কার থাকায় ধান কেটে শুকানোর জন্য মাঠে রেখেছিলাম। কিন্তু অবিরাম বৃষ্টি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছি।

খাদুলী গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, জমিতে জমে থাকা পানি দ্রুত নিষ্কাশন না করতে পারলে নুয়ে পড়া পাকা ও আধাপাকা ধান জমিতেই নষ্ট হয়ে যাবে।

বেড়েরবাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খাল ও জলাশয় দখল, পুকুর খননসহ নানা কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ রয়েছে। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে।

ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ছামিদুল ইসলাম জানান, আমন ধানের জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য সব উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করে জরুরি পরামর্শ দিতে মাঠে থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া ভালো হলে দুই/তিনদিনের মধ্যে নুয়ে পড়া ধানের তেমন ক্ষতি হবে না।

এএইচ/জেআইএম