ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

আমীর খসরু

গণতন্ত্র ও জবাবদিহির সংস্কৃতি গড়ে তুলতেই কাজ করছে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ০৯:৪৫ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

বিএনপি গণতন্ত্র ও জবাবদিহির সংস্কৃতি গড়ে তুলতেই কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, সাধারণত রাজনীতিবিদরা বক্তৃতা দিয়ে চলে যায়, কিন্তু বিএনপি নতুন ধারার রাজনীতিতে জনগণের সঙ্গে জবাবদিহিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। দায়বদ্ধতার যে একটি প্রক্রিয়া, সেটি আমরা বিএনপিতে বিভিন্ন সভা ও সেমিনারের মাধ্যমে স্থাপন করছি। প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে জনগণের কাছে রাজনীতিবিদদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে।

বুধবার (৫ নভেন্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল আয়োজিত ‘আমার প্রথম ভোট ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আবু হোরায়রার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম, রাজিবুল ইসলাম তালুকদার বিন্দুর পরিচালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও হাটহাজারী সংসদীয় আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়জী, কেন্দ্রীয় সদস্য রাঙ্গুনিয়া থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হুম্মাম কাদের চৌধুরী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির ও ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর প্রমুখ।

আমীর খসরু বলেন, বৃহৎ সভাগুলোতে বক্তৃতার সময় কমিয়ে, প্রশ্নোত্তর পর্ব দীর্ঘ করা হচ্ছে। ঢাকায় এবং আজ চট্টগ্রামে সুন্দর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি আমাদের নতুন রাজনীতির সংস্কৃতি।

বক্তব্যের শুরুতে সম্বোধনের প্রয়োজন নেই বলে জানান তিনি। বলেন, যারা স্টেজে আসবেন, মাইকে সরাসরি মূল পয়েন্টে কথা বলবেন। অতিরিক্ত সম্বোধন বা ‘জিন্দাবাদ’ ধ্বনি সময়ের অপচয়। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের এ সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে ভোট দেওয়ার কারণও তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে প্রথম বহুদলীয় গণতন্ত্র বিএনপি এনেছে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে এনেছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। গণতন্ত্রের ইতিহাস বিএনপির সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া বিএনপি অর্থনৈতিক মুক্তির পথও প্রথম খুলেছে।

বিএনপির পরিকল্পিত অর্থনৈতিক নীতি সম্পর্কে আমীর খসরু বলেন, ভবিষ্যতে মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নে আমরা চারটি নীতি অনুসরণ করবো—ভ্যালু ফর মানি, রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পরিবেশ সংরক্ষণ। ১৮ কোটি মানুষের জন্য আমাদের পরিকল্পনা হবে স্বচ্ছ ও সঠিক।

এর আগে, প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে যুব সমাজ ও নারীদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে বিএনপির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

আমীর খসরু বলেন, সাধারণ মানুষ কাজ করে খেতে পারেন। কিন্তু যারা এসএসসি, এইচএসসি বা বিএ পাস করেছেন তাদের ম্যানুয়াল কাজ করতে সমস্যা হয়। তাই আমরা তাদের আইটি স্কিলে ডেভেলপ করবো। আইটি রিলেটেড কাজে ছয় মাস বা এক বছর প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে সক্ষম হবেন। নারীরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও কাজ করতে পারবেন। আমাদের লক্ষ্য—সবাইকে কর্মসংস্থানের আওতায় আনা এবং অর্থনীতিকে গণতন্ত্রায়িত করা।

তিনি বলেন, আমরা চাই, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুবসমাজ থেকে শুরু করে সবাই অর্থনৈতিক গণতন্ত্রায়নের সঙ্গে যুক্ত থাকুক। বাড়িতে বসেও নারী বা পুরুষরা তৈরি পণ্য ডিজাইনিং ও ব্র্যান্ডিং সাপোর্টের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। এতে পণ্যের মান বৃদ্ধি পাবে এবং অর্থনীতিতে বিশাল অবদান ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে জেন-জি। বিএনপি ও তারেক রহমান সেটি বুঝে পরিকল্পনা করেছেন। আমাদের আগামীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিকল্পনায় সবকিছু অন্তর্ভুক্ত আছে।

এমআরএএইচ/এমকেআর/এএসএম