২০ কোটি টাকার প্রতারণা মামলা, আসামিদের গ্রেফতার না করার অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা
ব্যবসার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ২০ কোটি টাকা মূল্যের পণ্য। এ ঘটনায় করা প্রতারণা মামলার আসামিদের পক্ষে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স ভবনে সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার, সদর থানার পরিদর্শকসহ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন মামলার বাদী ইসমাইল হোসেন রতন ও লিটন কুমার আইচ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, দেড় বছর আগে সাতক্ষীরার মহাদেব চন্দ্র সাধু নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন রতন ও লিটন কুমার আইচের। পণ্য বেচাকেনার মাধ্যমে তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক তৈরি হয়। একপর্যায়ে তার কাছ থেকে ২০ কোটি টাকার পণ্য গ্রহণ করেন ভুক্তভোগী দুই ব্যবসায়ী। এরপর থেকে মোবাইলফোন বন্ধ করে দেন মহাদেব চন্দ্র সাধু।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি একজন প্রতারক। তার ভিজিটিং কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ঠিকানা সবই ছিল ভুয়া। এর মধ্যে মহাদেব চন্দ্র সাধু একটি ধর্ষণ মামলায় চুয়াডাঙ্গায় গ্রেফতার হন। তার খোঁজ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে ২০ কোটি টাকার প্রতারণা মামলা করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
প্রতারণা মামলার বাদী ইসমাইল হোসেন রতন অভিযোগ করে বলেন, আদালতে করা প্রতারণা মামলায় মহাদেব চন্দ্র সাধুসহ আরও ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেনি। উল্টো সুবিধা দিয়ে আসছে। তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের কাছে বিষয়টি জানানোর পরও তিনি আসামিদের গ্রেফতারে কোনো পদক্ষেপ নেননি।’
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হুসাইন মালিক/এসআর/এমএস
সর্বশেষ - দেশজুড়ে
- ১ বিলের মাঝে ২০ লাখ টাকার ‘ভুতুড়ে’ সেতু, ১০ বছরেও জোটেনি সংযোগ সড়ক
- ২ স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে ছাত্রদলের গণস্বাক্ষর
- ৩ চুয়াডাঙ্গায় ভয়াবহ রূপে ডায়রিয়া, ১৬ দিনে হাসপাতালে ভর্তি ১৩৬৬
- ৪ টাঙ্গাইলে পুলিশের বিশেষ অভিযান, ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার ১৮
- ৫ উরসের খিচুড়ি নিয়ে বাগবিতণ্ডা, কিল-ঘুসিতে চিকিৎসক নিহত