বাগেরহাটে শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চার দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। এতে বন্ধ হয়ে পড়েছে বাগেরহাট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক পরীক্ষা।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বাগেরহাটের সব উপজেলার সরকারি বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা এ কর্মবিরতি শুরু করেছেন। বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে।
এ নিয়ে বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা কর্মবিরতি পালন করছেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত যে কদিন থাকবে, সে পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। আপাতত আজ পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রভাতি শাখার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাবিল হোসাইনের বাবা হেদায়েত হোসেন লিটন বলেন, ‘আমার ছেলের পরীক্ষা চলছিল। সকাল ১০টায় পরীক্ষা দিতে স্কুলে গিয়ে ফিরে আসে। শিক্ষকরা নাকি ধর্মঘট করছেন, তাই পরীক্ষা নিচ্ছেন না তারা। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’
বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ জোহরা ইমা বলেন, সকালে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে গেছিলাম। স্কুলে গিয়ে দেখি পরীক্ষা বন্ধের নোটিশ টানানো। এখন পরীক্ষা দিতে না পেরে ফিরে যাচ্ছি।
তার বাবা আলী আকবর টুটুল বলেন, সকালে মেয়েকে স্কুলে দিয়ে চলে আসছিলাম। পরীক্ষা হবে না জেনে আবার তাকে আনতে যেতে হয়েছে। এটা চরম বিড়ম্বনা। সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে এমন দায়িত্বহীন আচরণ আশা করা যায় না।
বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিজ আহনাফের বাবা আমিরুল হক বাবু বলেন, স্কুল থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে আমাদের বাসা। আগে থেকে কোনো প্রকার নোটিশ না দিয়ে এভাবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধ করা মোটেও ঠিক হয়নি। এটা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপরে প্রভাব ফেলবে। শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া থাকতে পারে। তাই বলে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করা একটা বাজে নজির হয়ে থাকবে।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন বলেন, আমরা গতকালই শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সারাদেশেই এ কর্মসূচি হচ্ছে। আমরা আবারও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছি।
নাহিদ ফরাজী/আরএইচ/জেআইএম