ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ

জেলা প্রতিনিধি | চুয়াডাঙ্গা | প্রকাশিত: ০৮:৩১ এএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মাধবখালী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক শহিদুল ইসলামের মরদেহ ৪ দিনেও ফেরত পায়নি স্বজনরা। ফলে মরদেহ ফেরত নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে নিহতের স্বজনরা।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) নিহত শহিদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শহিদুল ইসলামের স্ত্রী নাসরিন আক্তার স্বামীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।

শহিদুল ইসলাম জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার নস্কর আলীর ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, শহিদুল ইসলামের দেশে ফেরত আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে ২৯ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একদল মাদক কারবারি ভারতের অভ্যন্তরে মাদক আনতে যাওয়ার সময় গুলির ঘটনা ঘটে। শহিদুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিএসএফের গুলিতে শহিদুল নিহত হয়েছেন।

শহিদুল ইসলামের স্ত্রী নাসরিন আক্তার জানান, শনিবার বিকেলে মাধবখালী সীমান্তের দোয়ালের মাঠে শহিদুল ইসলাম গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিল। এসময় বিএসএফ সদস্যরা শহিদুলকে ধরে খুব কাছ থেকে গুলি করে। এতে শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে নিহত হন বলে ভারতে তার পরিচিতজনরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ভারতের পশ্চিম বঙ্গের নদীয়া জেলার বিএসএফের ৩২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট সুজিত কুমারের বরাত দিয়ে বিজিবির মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল রফিকুল আলম জানান, প্রথমে বিএসএফের পক্ষ থেকে শহিদুল ইসলাম আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ওই দিন রাত ৮ টার সময় বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে জানানো হয় শহিদুল ইসলাম নিহত হয়েছেন।

শহিদুল ইসলামের মরদেহ ওই রাতে কৃষ্ণগঞ্জ থানা হেফাজতে রাখা হয়। পরের দিন ৩০ নভেম্বর দুপুরে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে শহিদুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয় এবং ওই হাসপাতালের হিমঘরে মরদেহ রেখে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

হুসাইন মালিক/এনএইচআর/জেআইএম