দিনাজপুরে শীত বাড়ার সঙ্গে ভিড় বাড়ছে লেপ-তোশকের দোকানে
দিনাজপুরসহ দেশের উত্তরের জেলাগুলোতে শীত বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে শীত নিবারণে লেপ-তোশকের দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
কারিগররা জানান, দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অনেকে পুরনো লেপ এনে নতুনভাবে তৈরি করে নিচ্ছেন। আবার অনেকে নতুন লেপ-তোশক বানানোর অর্ডার দিচ্ছে। ফলে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে তাদের।
ক্রেতা ও দোকান মালিকরা জানায়, এবার খরচ বেড়েছে। লেপ-তোশক ও জাজিমে প্রকারভেদে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া জেলা, উপজেলার হাটবাজার ও রাস্তা ঘাটে ভ্রাম্যমাণ লেপ-তোশক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাড়া মহল্লা ও শহরের অলিতে গলিতে শোনা যাচ্ছে লেপ-তোশক ও জাজিম বিক্রেতাদের হাকডাক।
শহরের মালদহপট্রি গরুহাটিতে লেপ তৈরি করতে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, গত বছর একটি লেপ তৈরি করেছিলাম ১১০০ টাকায়, এবার সেই সাইজের লেপ তৈরি করতে ১৫০০টাকা দিতে হলো। সব কিছুর দাম বাড়তি।
সদর উপজেলার ১ নম্বর চেহেলগাজী ইউনিয়নের বাঁশেরহাট হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে লেপ-তোশক তৈরির দোকানের কারিগর মো. মজিবুর রহমান বলেন, এবার লেপ-তোশক ও জামিম তৈরিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি বেড়েছে। তাছাড়া কাপড়, তুলা, সুতা সব কিছুর দাম বেড়েছে। তাই খরচও বেড়েছে।
দিনাজপুর শহরের শহরের ৭ নম্বর পানির ট্যাংকির মোড়ে ফেরদৌস বেডিং হাউজের মালিক মো. হাফিজুল ইসলাম জানান, শীতের শুরুতে ক্রেতারা নতুন লেপ-তোশক কিনছেন। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে গুণগত মান বজায় রেখে রেডিমেট জিনিসও তৈরি করে বিক্রি করছি। আবার অর্ডার নিয়েও তৈরি করে দিচ্ছি। অনেকে আবার পুরাতন লেপ-তোশক নতুন করে ঠিক করে নিচ্ছেন। তবে কারিগরের মজুরিসহ সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধির কারণে এ বছর লেপ-তোশক, জাজিম, বালিশ তৈরিতে ব্যয় আগের তুলনায় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমদাদুল হক মিলন/এনএইচআর/এমএস
সর্বশেষ - দেশজুড়ে
- ১ ফ্যাসিবাদী আমলে বন্ধ হওয়া চিনিকলগুলো পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছি
- ২ ৮০০ টাকা কেজি রান্না করা গরুর মাংস কিনতে ক্রেতাদের হিড়িক
- ৩ পুরোনো রাজনীতি পরিহার করে নতুন রাজনীতি করতে চাই: মঞ্জু
- ৪ ফ্যাসিবাদের আমলে ৫ টাকা চাঁদা দিলে এখন ২০ টাকা দেওয়া লাগে
- ৫ রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে ওয়ানশুটার গানসহ দুই পিস্তল উদ্ধার