৩৫০ মাইল দূরে বদলি হওয়া শিক্ষক
আরও কঠোর কর্মসূচি আসবে, যদি জেলেও যেতে হয় প্রস্তুত আছি
প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম
ময়মনসিংহ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক নেতাকে বরিশাল এবং জামালপুরে বদলি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন এক শিক্ষক নেতা। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রয়োজনে জেলে যেতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তিনি।
বদলি করা শিক্ষক নেতারা হলেন ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম ও হালুয়াঘাট উপজেলার মো. রোকনুজ্জামান রাসেল। আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়। রাসেলকে বদলি করা হয়েছে জামালপুর সদর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এই বদলির আদেশ দেওয়া হয়।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে ফেসবুক লাইভে এসে সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে ক্ষোভ জানান প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম।
তিনি বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পাশের জেলা ও বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাবো তবুও আন্দোলন থেকে সরে আসবো না। আপনাদের পাশে রয়েছি। আমাকে সাড়ে ৩০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই। নেতা হিসেবে বড় ঝড়তো আসবেই। আমি তা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছি। অনতিবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সেজন্য যদি জেলেও যেতে হয় প্রস্তুত আছি।’
এই শিক্ষক নেতা আরও বলেন, ‘ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা আন্দোলন করছি। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে আমাদের আন্দোলন নয়। কেউ আমাদের ভুল বুঝবেন না। কৌশলগত কারণে ঢাকা থেকে আন্দোলন বিদ্যালয় পর্যায়ে আনা হয়। কেউ যেন এটাকে ভিন্ন খাতে নিতে না পারে। কর্মসূচির মধ্যে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তারপর কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবো।’
এসময় শিক্ষকদের বদলির তীব্র নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তী সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আবুল কাশেম।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় অধিদপ্তর থেকে শিক্ষকদের বদলি করা হয়েছে।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এসআর