মেহেরপুরে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা ১১.৮
ফাইল ছবি
মেহেরপুরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ।
শনিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তখন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান জানান, সকাল ৯টায় মেহেরপুর অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ। আগামী কয়েকদিন রাত ও ভোরের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
চলতি শীত মৌসুমে এটাই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। যদিও এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয় বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। সকাল ৯টার পর ঝলমলে রোদের দেখা মিললেও শীতের প্রভাব কাটছে না। হিমেল বাতাস বইতে থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। শীত বৃদ্ধির কারণে মেহেরপুর ও গাংনী উপজেলা শহরে সকাল থেকে মানুষের চলাচল কম ছিল। সকালে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হয়নি। সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন নিম্ন-আয়ের মানুষ, বিশেষ করে শ্রমিক, ভ্যান ও রিকশাচালকরা।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবীর জানান, চলতি শীত মৌসুমে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ৩৮০০, গাংনী উপজেলায় ১৮০০ এবং মুজিবনগর উপজেলায় ৮৭৫টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
আসিফ ইকবাল/এফএ