ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শরীয়তপুরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দোকান দখলের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি | শরীয়তপুর | প্রকাশিত: ০৩:৩৪ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

শরীয়তপুরের জাজিরায় এক ব্যবসায়ীর দোকানের মালামাল লুট করে ঘর দখলের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুরুজ মাদবরের বিরুদ্ধে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সোবহান মাদবর।

ভুক্তভোগী সোবহান মাদবর জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি সম্পত্তি ক্রয় করে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করে আসছেন, কয়েকদিন আগে ওই নেতা ও তার ছেলে দলীয় প্রভাব দেখিয়ে দোকানসহ সম্পত্তি দখল করেছেন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, জাজিরা উপজেলার ডুবিসায়বর বন্দর কাজীরহাট এলাকায় জমি ক্রয় করে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে দোকানঘর নির্মাণ করে কাঠের ফার্নিচার ও টিনের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন সোবহান মাদবর। ৫ আগস্টের পর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুরুজ মাদবর ও তার ছেলে স্বাধীন মাদবর সোবহান মাদবরের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছেন। সোবহান মাদবর তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ২ ডিসেম্বর দিনগত রাতে ওই দোকানের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে দোকানটি দখলে নেয় সুরুজ মাদবর। এ ঘটনায় দোকানটি ফেরত পাওয়ার পাশাপাশি দোষীদের বিচারের দাবিও জানান তারা।

সোবহান মাদবর বলেন, ৫ আগস্টের পর সুরুজ মাদবর বিএনপির প্রভাব বিস্তার করে আমার কাছে চাঁদা দাবি করেছে। আমি তাদের টাকা না দেয়ায় ২ ডিসেম্বর রাতে লোকজন নিয়ে এসে দোকানের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে তারা নিজেরাই সেই দোকানে ব্যানার টানিয়ে দখল করে নেয়। তারা বিএনপির নামে বেঁচে আমাকে এভাবে অত্যাচার করছে। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।

ভুক্তভোগী মুন্না মাদবর বলেন, দোকানটি আমাদের কেনা সম্পত্তি। আমরা সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। এটা বাজারের সবাই জানে। এখন সুরুজ মাদবর আমাদের দোকানের তালা ভেঙে মালামাল নিয়ে গিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন এটা নাকি তাদের সম্পত্তি। আমাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমরা আমাদের জায়গাসহ দোকান ফেরত চাই।

দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুরুজ মাদবর বলেন, দোকানের সম্পত্তিটি আমাদের। আমরা প্রকৃত মালিকের থেকে জায়গাটি কিনেছি। আওয়ামী লীগের আমলে কিছু লোক আমাদের ওই জায়গা দখল করে রেখেছিলো। এখন আমাদের সম্পত্তিতে আমরা ব্যবসা চালাচ্ছি। আমরা কারো মালামাল লুট করিনি। আমাদের এই জমির কাগজ আছে। যদি কেউ এই জমির কাগজ দেখাতে পারে তাহলে এই জমি আমি ছেড়ে দেবো।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি বজলু শিকদার বলেন, আমরা বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। তবে আমাদের কাছে এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। শুনেছি জায়গাটি সুরুজ মাদবরের। তবে তার বিরুদ্ধে যদি দখলের অভিযোগ থাকে, সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার, এখানে দলের প্রভাবের কোনো বিষয় নেই।

বিধান মজুমদার অনি/এনএইচআর/এমএস