শিক্ষাখাতে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে: উপাচার্য
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, দেশের শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিতে হলে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশ এই খাতে বরাদ্দ দিতে হবে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অ্যালামনায় কর্তৃক আয়োজিত জনস্বাস্থ্য বিষয়ক একটি সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেখেছি, যেসব দেশ থেকে একসময় আমাদের ঢাকায় তসবি বা রুটি বিক্রি করতে আসতো বর্তমানে সেসব দেশের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভর করতে হচ্ছে। এটি হচ্ছে রাজনৈতিক বিভাজন, এই জায়গা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। দেশের শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিতে এই খাতে জিডিপির বরাদ্দ ১.৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসতে হবে, এটি রষ্ট্রের কাছে আমাদের দাবি।
অন্য কোনো খাতে বরাদ্দের অভাব না হলেও সর্বদা শিক্ষাখাতে এই অভাব দেখা যায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বরাদ্দ বেশি আসবে, গবেষণায় বরাদ্দ বাড়বে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গবেষণায় উৎসাহী হবেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উপাচার্য আরও বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আমরা দুইটি ভাগে ভাগ করতে চাই। যার একটি হবে কারিগরি আর অন্যটি জেনারেল শিক্ষাব্যবস্থা। আমাদের ১৬ হাজার রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রয়োজন নেই, ১৫ হাজার সমাজবিজ্ঞানী প্রয়োজন নেই। দেশের শিক্ষার্থীরা যারা কারিগরি কাজে ক্যারিয়ার গড়তে চান তারা এই প্রথমভাগে চলে যাক ও অন্যরা যারা গবেষণায় আগ্রহী তারা জেনারেল শিক্ষাব্যবস্থায় আসুক। উচ্চ শিক্ষা প্রিভিলেইজ (বিশেষ সুবিধা), কোনো মানবাধিকার নেই। মৌলিক শিক্ষা মানবাধিকারের ভেতরে পড়ে রাষ্ট্র কর্তৃক এই বিষয়টি ঠিক করে দিতে হবে।
সেমিনারে সমাজবিজ্ঞান অ্যালামনাইয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহ মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, শাবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, কানাডার ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তানভীর তুরিন চৌধুরী, শাবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আল-আমীন প্রমুখ।
এসএইচ জাহিদ/এনএইচআর/এমএস