সুনামগঞ্জে নদীতে ভাসছিলো নিখোঁজ নারীর মরদেহ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হাসিনা বেগমের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে কুশিয়ারা নদীতে ওই নারীর মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা।
জানা গেছে, হাসিনা বেগম উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামের তামিম মিয়ার স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকালে কুশিয়ারা নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি হাসিনার পরিবার ও জগন্নাথপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে এবং সেটি নিখোঁজ হাসিনা আক্তারের মরদেহ বলে শনাক্ত করে তার পরিবার।
নিহত হাসিনার বাবা আব্দুল হান্নান ওরফে কাছা মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ৮ ডিসেম্বর বাড়ির পাশে কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে এসে নিখোঁজ হয়। পরে নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে আমরা তার মরদেহ পাইনি।
তিনি আরও বলেন, আজকে বিকেলে কুশিয়ারা নদীতে একটি মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা আমাদের খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করলে আমরা হাসিনার মরদেহ শনাক্ত করি।
রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম বলেন, ৮ ডিসেম্বর বিকেলে হাসিনা বেগম নামে এক নারী নদীতে গোসল করতে এসে নিখোঁজ হলে আজকে তার মরদেহ নদীতে ভেসে উঠে। জগন্নাথপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, কুশিয়ারা নদীতে নিখোঁজ নারী হাসিনা বেগমের ২ দিন পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সবার সঙ্গে আলোচনা করে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
লিপসন আহমেদ/এনএইচআর/জেআইএম