ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মামুনুল হক

চব্বিশের বিপ্লবে যারা জীবন দিয়েছিলো তাদের সিংহভাগ আলেম সমাজ

জেলা প্রতিনিধি | ময়মনসিংহ | প্রকাশিত: ০৮:১৪ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, চব্বিশের বিপ্লবে যারা বুক চিতিয়ে জীবন দিয়েছিল তাদের সিংহ ভাগ ছিল আলেম সমাজ।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা শাখার আয়োজনে সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনি গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

মামুনুল হক বলেন, জীবন ও রক্তের বিনিময়ে দেশকে বিদেশি আধিপত্য মুক্ত, ফ্যসিবাদ মুক্ত করা হয়েছে। নতুন করে আবার বিদেশি পরাজিত শক্তি অন্য কারও মাথার ওপর ভর করে বাংলার মানুষকে জিঞ্জিরবদ্ধ করতে চাইলে তা বরদাস্ত করা হবে না।

তিনি বলেন, এখনো যারা ভাবছেন শেখ হাসিনা আবার আসবে, তারা বোকার স্বর্গে আছেন। কবর থেকে লাশ যেমন কখনো ফেরত আসে না তেমনি বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হওয়া শেখ হাসিনা আর কখনো বাংলার মসনদে ফিরতে পারবেন না। এ দেশ চলবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে।

মামুনুল হক বলেন, দেশের ছাত্র-জনতা এদেশ থেকে ভারতের আধিপত্যবাদকে বিতাড়িত করেছে, এখনো যারা ৭২'র সংবিধানকে ফেরত আনতে চান তারা সাবধান হয়ে যান।

তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। বিগত সময়ে যারা ক্ষমতার মসনদে ছিল তারা দেশের প্রতিনিধি নয়, বরং ভিনদেশি কৃতদাসী হিসেবে ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। এদেশের মানুষের অধিকার আদায় নয়, ভিনদেশিদের স্বার্থ আদায় করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। দেশটাকে উজাড় করে সোনার বাংলাকে শ্মশান বানিয়ে মানুষের রক্ত ও জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে দেশটাকে গুমের রাজত্বে পরিণত করে। বাংলাদেশটাকে মৃত্যুকুপে পরিণত করা হয়েছিল। আলেম ওলামা ইসলামি জনতার ওপর স্ট্রিম রোলার চালানো হয়েছিল।

খেলাফত মজলিশের আমির আরও বলেন, ইসলামী জনতাকে বার বার বুলেটের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে নির্বিচারে পাখির মতো গুলি করা হয়। ২০২১ সালে মোদিবিরোধী আন্দোলনের কারণে আলেমদের গুলি করে খুন করা হয়েছে। ২০২৪ সালে জুলাই বিপ্লবে এদেশের আপামর তাওহীদি জনতা, ছাত্র জনতা, কৃষক শ্রমিক মজুরদের হত্যা করে বাংলাদেশকে রক্তে ভাসিয়ে দিয়েছিল। সব জুলুম-নির্যাতনের পর চব্বিশের বিপ্লব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মামুনুল হক বলেন, বিগত দিনে ঐক্যবদ্ধ জনগণ যাদেরকে প্রতিহত করেছে তারা ভিন্ন রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা শপথ করছি- জীবন দিয়ে যেই ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত করেছি, সেই ফ্যাসিবাদ ভিন্নরূপে বাংলার ক্ষমতার মসনদে আসার পাঁয়তারা করলে, আমরা রাজপথে লড়াই করে মোকাবিলা করবো।

এসময় চাঁদাবাজি, লুটপাট, দুর্নীতি বন্ধ ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি বাস্তবায়নে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীকের পাশাপাশি গণভোটে হ্যাঁ ব্যালটে সিল দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

খেলাফত মজলিশের উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন, নায়েবে আমির শাহ মুহাম্মদ সাঈদ নূর, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদী, ফুলবাড়িয়া আসনে খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী মুফতি আব্দুল কাদের ও জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন প্রমুখ বক্তব্য দেন। এসময় খেলাফত মজলিসের স্থানীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

কামরুজ্জামান মিন্টু/এনএইচআর