মেহেরপুর
বার্ষিক পরীক্ষা নিতে অসহযোগিতা, প্রাথমিকের ৯ শিক্ষককে শোকজ
নির্ধারিত সময়ে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণে অসহযোগিতা ও পরীক্ষায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ জারি করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে গাংনী উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে এ নোটিশ দেওয়া হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুকুমার মিত্র সই করা পত্রে উল্লেখ করা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা গ্রহণে বাধা প্রদান ও অসহযোগিতার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান না করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কারণ দর্শানোর নোটিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন পলাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান বকুল, তেরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকিউল ইসলাম, কুলবাড়িয়া হারেস উদ্দীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তানভীর কবীর, হিজলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সেলিম আহমেদ, বেতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান, হাড়িয়াদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লাবনী খাতুন, এলাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসান আলী, করমদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল ও ধানখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজেদা পারভীন।
গাংনী উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও নোটিশপ্রাপ্ত শিক্ষক আক্তারুজ্জামান বকুল বলেন, ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছি। তবে প্রতিটি বিদ্যালয়েই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় বাধা দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষক নেতা হিসেবে শুরু থেকেই সহকারী শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। শেষদিন শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে কেউ মানববন্ধনের কথা প্রচার করেছেন, অথচ সেখানে কোনো মানববন্ধন হয়নি।’
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। শিক্ষকরা সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
আসিফ ইকবাল/এসআর/এএসএম