ময়মনসিংহে সবজিতে স্বস্তি, মুরগির দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
ময়মনসিংহে সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তিতে সবজি কিনতে পারছেন। তবে ব্রয়লার ও কক মুরগি কেজিতে ১০-১৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের ঐতিহ্যবাহী মেছুয়া বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবচেয়ে কমেছে করলা ও দেশি শিমের দাম। গত সপ্তাহে করলা ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ৪০ এবং দেশি শিম ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি গাজর ৪০ টাকা থেকে কমে ৩০, গোল বেগুন ৫০ টাকা থেকে কমে ৪০, শসা ৪০ টাকা থেকে কমে ৩০, মটরসুটি ১৩০ টাকা থেকে কমে ১২০, চিকন বেগুন ৪০ টাকা থেকে কমে ৩০, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা থেকে কমে ৫০ ও টমেটো ৭০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থিতিশীল অবস্থায় কাঁচা পেঁপে ২৫, কাঁচামরিচ ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজিতে, লেবু-১৫ টাকা হালি, কাঁচকলা ৩০ টাকা হালি ও লাউ ৫০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারে স্থিতিশীল অবস্থায় রুই ৩২০-৪২০ টাকা, কালবাউশ ৩০০-৩৭০ টাকা, ট্যাংরা ৫১০-৭৮০ টাকা, মৃগেল ২৬০-৩৩০ টাকা, কাতলা ৩৪০-৪৪০ টাকা, পাবদা ৩৯০-৫২০ টাকা, শিং ৩৪০-৬৪০ টাকা, টাকি ৪১০-৫৪০ টাকা, সিলভার কার্প ২১০-২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৮০ টাকা, পাঙাশ ১৬০-১৯০ টাকা, কৈ ২৪০-৩৪০ টাকা ও শোল ৫৯০-৬৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও সাদা কক মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহ ১৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ১৬০ ও সাদা কক মুরগি ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। স্থিতিশীল অবস্থায় সোনালি কক মুরগি ২৭০ টাকা, খাসির মাংস এক হাজার ১৫০ টাকা ও গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি কেনার সময় কথা হয় আনোয়ার হোসেন নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, সবজির দাম কমে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম পর্যায়ে ক্রেতারা স্বস্তি নিয়ে সবজি কিনতে পারছে। দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকুক সেটাই আমাদের চাওয়া।
মুরগি কিনতে আসেন আব্দুল হাই। তিনি বলেন, বাজারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিয়মিত মনিটরিং জোরদার করা প্রয়োজন। এতে অসাধু বিক্রেতারা অহেতুক দাম বাড়াতে পারবে না। কয়েক দিনের ব্যবধানে মুরগির দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এর যৌক্তিক কারণ আছে কি না, তা ক্রেতারা বুঝতে পারছে না।

সবজি বিক্রেতা ফয়েজ মিয়া বলেন, সবজির সরবরাহ প্রচুর বেড়েছে। ফলে বেশিরভাগ সবজির দামও কমে গেছে। সরবরাহ বাড়লে সবজি আরও সহনীয় দামে বিক্রি হবে।
মুরগি বিক্রেতা আজিজুল হক বলেন, পাইকাররা বেশি দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে মুরগি বিক্রি করছে। এতে খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে। দাম বাড়ানোর পেছনে আমাদের (খুচরা বিক্রেতা) কারসাজি নেই।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস ছালাম বলেন, মাঝেমধ্যে যৌক্তিক কারণ ছাড়াই সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা বিভিন্ন পণের দাম বাড়িয়ে দেন। এতে ক্রেতারা ঠকলেও অসাধু বিক্রেতাদের পকেট ভারি হয়। এজন্য বাজারে আমাদের নজরদারি রয়েছে।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এমএন/এএসএম